কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
এক দিকে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই শাসক এনপিপির ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের’ জেলে পোরার হুমকি। অন্য দিকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে মেঘালয়ের হাল ‘পশ্চিমবঙ্গের মতো হবে’ বলে জনতাকে হুঁশিয়ার করা। এই দুই কৌশলেই বিধানসভায় মেঘালয়বাসীর ভোট চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত পাঁচ বছরে এমডিএ জোট সরকারের শরিক ছিল বিজেপি। এ বারের ভোটে আর জোট নেই। প্রচারে এসে মেঘালয়কে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য’ বলে দাবি করে শাহ বলেছেন, “গারো পাহাড়ে মুকুল সাংমা ও কনরাড সাংমার পরিবার রাজত্ব করছে। কিন্তু দুই পরিবার বাদে কারও উন্নতি হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ে সব দুর্নীতিগ্রস্তকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।” গারো পাহাড়ের ডালুতে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা বহু মানুষের বাস। সেখানে শাহ বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের শাসনে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। বিজেপি এলে এক জনও অনুপ্রবেশকারীও ঢুকতে পারবেন না।’’ শাহের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তোলাবাজি, কাটমানি প্রথা, গুন্ডাগিরি, দুর্নীতি চরমে। মুকুল সাংমা জিতলে সেই অবস্থা মেঘালয়েরও হবে।
শাহের অভিযোগের পাল্টা শিলংয়ের পুলিশবাজারের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত পাঁচ বছরে বিজেপি যে সরকারের শরিক ছিল, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে অমিত শাহকে নিজের বিরুদ্ধেই তদন্ত করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের জনতা পরিচালিত সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে তৈরি আমি। সাহস থাকলে মেঘালয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের রিপোর্ট কার্ড সামনে আনুন কনরাড সাংমা।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “এখানকার মুখ্যমন্ত্রী ইডি-সিবিআইয়ের নোটিসের ভয়ে চুপ থাকেন। আমায় ডজনের বেশি নোটিস পাঠিয়েছে ইডি-সিবিআই। কালকেই হয়তো ফের ইডির চিঠি পাঠাবে। কিন্তু আমি ইডি দফতর থেকে বেরিয়েই বিজেপির সঙ্গে লড়াই শুরু করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy