অমিত শাহ।
বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও জোট গড়লে আখেরে তাদেরই লাভ হবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে সক্রিয় বিজেপি। সেটা করতে গিয়েই মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনাকে উসকে দিতে চাইছে তারা।
যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি এখনও শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তার অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। যদিও আজ বিজেপি অমিত শাহ এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ২২টি আসনে জিতবে। তাঁর দাবি, ‘‘আমি ১৮ বার পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছি। তৃণমূল সেখানে হিংসার রাজনীতিতে মদত দিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই এই অঙ্ক বলছি।’’
কংগ্রেসকে বাইরে রেখে ফেডেরাল ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘আঞ্চলিক দলের নেতারা বোধহয় রাহুল গাঁধীর হারের রেকর্ডকে ভয় পান! সেই কারণেই দূরে থাকতে চাইছেন!’’
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিজেপি-বিরোধী ভোট কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ এবং আঞ্চলিক দলগুলির তৃতীয় ফ্রন্টের মধ্যে ভাগ হয়ে গেলে বিজেপিরই লাভ। সে কারণেই তারা চায় না পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল এবং কংগ্রেস এককাট্টা হোক। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তে বিজেপি তথা মোদী সরকারের নরমে-গরমে নীতি সেই কৌশলেই।
একই অঙ্কে কে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়কের মতো আঞ্চলিক দলের নেতানেত্রীদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্খাকে উসকে দিতে চাইছে বিজেপি। কিছু দিন আগে রাম জেঠমলানী বলেছিলেন, তিনি ২০১৯-এ মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। এই ধরনের মন্তব্যে বিজেপি নেতৃত্ব খুশিই হয়েছেন। বিরোধী জোটের মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, ওঁদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? রাহুল গাঁধী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? না কি সীতারাম ইয়েচুরি?
অমিত শাহের দাবি, ২০১৯-এর ভোট নিয়ে তাঁদের কোনও ভয় নেই। বিরোধীদের পরিকল্পনা নিয়েও তাঁর ভাবার প্রয়োজন নেই। কারণ ২০১৪-র ২৬ মে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণের পরের দিন, ২৭ মে থেকেই তাঁরা ২০১৯-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। অমিতের যুক্তি, ‘‘ভয় তাঁরাই পায়, যাঁদের প্রস্তুতি থাকে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy