কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা ইডি-সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে ‘অপব্যবহারের’ অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন শাহ। ফাইল চিত্র ।
নরেন্দ্র মোদীর নাম বলার জন্য ইউপিএ জমানায় তাঁকেও চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে বুধবার এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলের একটি মামলায় সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। সিবিআই আধিকারিকেরা গুজরাতের একটি ভুয়ো এনকাউন্টারের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীর নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিয়েছিলেন। বুধবার ঠিক যে প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও।
বুধবার বিকেলে শহিদ মিনারের কাছে একটি সভায় গিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। তিনি জানান, দলের দুই নেতা মদন মিত্র এবং কুনাল ঘোষ যখন জেলে ছিলেন, তখন তাঁদের উপরে ‘চাপ’ সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে তাঁরা অভিষেকের নাম বলেন। তিনি বলেন, ‘‘মদনদা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও জেলে ছিলেন। এঁদের বলা হয়েছিল, আমার নাম নিলেই ছেড়ে দেবে।’’
পাশাপাশি, এই দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
বুধবার সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সেখানে তাঁকে বিরোধীদের উপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহারের’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও অভিষেকের সুরেই কথা বলেন। শাহ বলেন, ‘‘মোদীজিকে ফাঁসানোর জন্য সিবিআই আমার উপর চাপ দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিজেপি কখনও হইচই করেনি।’’
একই সঙ্গে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা ইডি-সিবিআইের মতো সংস্থাগুলিকে ‘অপব্যবহারের’ অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কখনই কোনও কিছুর জন্য কাউকে দোষারোপ করিনি। কংগ্রেস সরকারের সময় নিরাপরাধ পুলিশ অফিসারদের কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিরোধীরা অভিযোগ আনছে বলে আমরা কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করে দেব? অভিযুক্ত যদি এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তি হন, তা হলে কি আমাদের কাজ করা উচিত নয়?’’
বুধবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অভিষেক এবং শাহের মুখে মূলত একই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। দু’জনের মুখেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ‘অপব্যবহারের’ অভিযোগ। ফারাক শুধু ভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা দুই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy