কোভিডের সময় পূর্বাঞ্চলের যে সব রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন, তার মধ্যে শীর্ষে ছিল বিহার। ভোটের মুখে সেই বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ পদযাত্রা ও জনসভায় বার্তা দিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে চাকরি খুঁজতে বাইরে যেতে হবে না। তাঁর স্লোগান, ‘পলায়ন রোকো, নোকরি দো।’
বিহারের বেগুসরাই জেলায় আজ শাদা টি-শার্ট পরা শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিলেন রাহুল। বছরের শেষে বিহারের বিধানসভা ভোটের দিকে চোখ রেখে বললেন, ‘‘আমরা আর অন্যায় সহ্য করব না।” বিহারের কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে রাহুল তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “বিহারের যুবশক্তির মধ্যে উদ্দীপনার কোনও অভাব নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তাঁদের সঠিক সুযোগ এবং সহায়তা না দেওয়ার জন্য। বেগুসরাইয়ের রাস্তায় হাজার হাজার যুবার দুর্দশা, আবেগ এবং বদ্ধপরিকর মনোভাব স্পষ্ট। ‘পলায়ন রোকো, নোকরি দো’ পদযাত্রার সময়ে এই দৃশ্যই দেখলাম।” তাঁর কথায়, “বেকারত্ব এবং কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যাওয়ার বিরুদ্ধে স্বর আজকের দিনে বিহারে পরিবর্তনের কথা বলছে। তারা আর চুপ করে বসে থাকবে না। যুবশক্তি অন্যায় সহ্য করবে না। তারা চাকরি এবং ন্যায়ের জন্য লড়তে প্রস্তুত।” পদযাত্রার পর রাহুল এ দিন পটনায় ‘সংবিধান সুরক্ষা সম্মেলন’ জনসভায় যোগ দেন।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, গত কুড়ি বছর ক্ষমতায় থেকেও নীতীশ বিহারে বিনিয়োগ টানতে সে ভাবে সফল হননি। ফলে নতুন চাকরির সংস্থানও হয়নি। রাজ্য ছেড়েছেন দলে দলে শ্রমিক। পরিষেবা ক্ষেত্রেও সে ভাবে অগ্রগতি হয়নি। ভরসা শুধুমাত্র সরকারি চাকরি। আপাতত সংসদে ওয়াকফ বিল পাশ করানোর জেরে নীতীশের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক যে টলোমলো, সেই ইঙ্গিত পাচ্ছে কংগ্রেস এবং তেজস্বী যাদবের আরজেডি। সেই ভোটব্যাঙ্ক খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে জেনে ঝাঁপাচ্ছেন
রাহুল-তেজস্বীরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)