খুদের পছন্দ লিপস্টিক পরা। ছবি সৌজন্যে টুইটার।
ছোটবেলায় আর পাঁচটা বাচ্চা যেমন করে। কেউ সাজুগুজু করে। কেউ বা ব্যাট হাতে বাড়িতে দাপিয়ে বেড়ায়। কিন্তু মেয়ে হলে সাজুগুজু করবে। আর ছেলে হলেই হাতে ব্যাট নিয়ে খেলবে, এমনটাই ধারণা ছিল এই বাচ্চাটির পরিবারের। তাই লিপস্টিক পরে খেলার জন্য নিয়মিত নিজের বাড়িতেই ‘মেয়েলি’ বলে ৯ বছরের বাচ্চাটিকে খেপানো হত। নিয়মিত ঠাট্টা-তামাশা করা হত সে ‘মেয়েদের মতো’ বলে। খেলাচ্ছলে সে নেলপালিশ পরলে রীতিমতো বকাঝকাও করা হত তাকে।
এ বার ইলাহাবাদের বাচ্চাটির পাশেই এসে দাঁড়াল পরিবারের নতুন প্রজন্ম। ৯ বছরের ছেলেটির জন্য বাড়ির প্রত্যেক তুতো ভাই-বোন রাঙালেন ঠোঁট। ভাইয়ের সঙ্গে পোস্ট করলেন নিজেদের ছবিও।
বাড়িতে যাতে তাঁকে আলাদা করে রাখা না হয়, তাই তুতো বোন দীক্ষাই টুইট করেন তাঁদের পরিবারের সব ভাই-বোনদের ছবি। লেখেন, তাঁর ভাই নেলপালিশ পরতে ভালবাসে, লিপস্টিক পরতে ভালবাসে। গৃহবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ রয়েছে। সব সময় যে ছেলে হলেই দৌড়ঝাঁপ করতে হবে তার কী মানে। তাঁর ছোট্ট ‘লিটল কুজ’-কে অনেক সময় বাড়ি এবং পাড়ার মতো ‘সেফ জোন’-এও অযাচিত কথাবার্তা শুনতে হয়। তাই ভাইয়ের পাশে রয়েছেন তাঁরা।
তুতো ভাই-বোনরা পাশে দাঁড়াল এভাবেই। ছবি সৌজন্যে টুইটার।
দীক্ষা টুইট করে বলেন, অন্য ভাইদেরও লিপস্টিক-নেলপলিশ পরতে দেখে তাঁর ছোট্ট ‘লিটল কুজ’ মনে জোর পেয়েছে। কেউ তাকে আর অন্য রকম বলতে পারবে না। ‘আলফা-মেল সোসাইটির’, ‘স্টিরিওটাইপ’ ধারণা বদলানোর সময় এসেছে। দীক্ষার এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায় টুইটারে। তার মতো দিদি যেন প্রতিটি বাচ্চা পায়, এমনটাও লেখেন নেটিজেনরা। কয়েক জন পুরুষ হাতে নেলপলিশ পরেও পোস্ট করেন দীক্ষার টুইটের উত্তরে।
আরও খবর: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরল আমেরিকা
মার্কিন মুলুকে অন্য ছবি বানাচ্ছেন ঋত্বিকের নাতনি
ক্যামেরা দেখে যে ৯ বছরের বাচ্চাটি ভয় পেত, কারণ লিপস্টিক পরলেই তাকে বকাঝকা করা হয়। শুনতে হয় অশ্লীল কথা। সেই বাচ্চাটিই টুইটার পোস্টগুলি দেখার পর হাসিমুখে লিপস্টিক পরে ক্যামেরার সামনে সেলফি তুলেছে দিদির সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy