Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

জেরায় সনিয়ার নাম বলেছিলেন অগুস্তার দালাল, কোর্টে বলল ইডি

ইডি জানিয়েছে, জেরায় মিশেলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘এক ইতালিয় মহিলার পুত্র’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন? জবাবে মিশেল বলেন, ‘‘যিনি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।’’

ক্রিশ্চিয়ান মিশেল। -ফাইল ছবি।

ক্রিশ্চিয়ান মিশেল। -ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৮
Share: Save:

অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারির ঘটনায় ধৃত দালাল ক্রিশ্চিয়ান মিশেল গোয়েন্দাদের জেরায় সনিয়া গাঁধীর নাম জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন ‘এক ইতালিয় মহিলার পুত্র’-এর কথাও। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে শনিবার এ কথা জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। তবে ঠিক কোন প্রসঙ্গে মিশেলের মুখে সনিয়ার নাম শোনা গিয়েছিল তা ‘এখনই বলা যাবে না’ বলে ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে আদালতে।

ইডি জানিয়েছে, জেরায় মিশেলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘এক ইতালিয় মহিলার পুত্র’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন? জবাবে মিশেল বলেন, ‘‘যিনি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।’’ ইডি-র বক্তব্য শোনার পর তাদের হেফাজতে মিশেলের থাকার মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই মাসের গোড়ায় মিশেলকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সাত দিন হেফাজতে রাখার পর এ দিন মিশেলকে হাজির করানো হয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে।

আরও পড়ুন- কোন পরিবারকে ঘুষ দেওয়া হয় অগুস্তা কাণ্ডে? নতুন নথি নিয়ে তোলপাড়

আরও পড়ুন- ব্রিটিশ আমলে জেলে গিয়েছিলেন, ‘হারানো’ স্ত্রীকে খুঁজে পেলেন ৭২ বছর পর​

মিলান আদালতের একটি নথি থেকে জানা গিয়েছিল, অগুস্তা কেলেঙ্কারিতে ‘দ্য ফ্যাম’ অর্থাৎ ‘দ্য ফ্যামিলি’ নামে একটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল ২২,০০০ ইউরো বা ১৭ লক্ষ টাকা। যদিও ‘দ্য ফ্যাম’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, সেই তথ্য মিলছে না কোথাও। ‘দ্য ফ্যাম’-এর কাছে ওই টাকা যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রমাণ মিলেছে মিলানের আদালতের একটি রায়ে। সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি-র কাছে সেই রায়ের নথি পৌছেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দু’টি কিস্তিতে সাড়ে আট লক্ষ করে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ‘দ্য ফ্যাম’-এর কাছে। যা সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE