পুলিশের গাড়ি ঠেলছেন অভিযুক্তরা। ছবি: সংগৃহীত।
পালানোর সুযোগ ছিল, কিন্তু পালাননি কেউই। প্রিজ়ন ভ্যানে চাপিয়ে ৪ অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তেল ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে কোমরে দড়ি পরিয়ে ‘আসামি’দের দিয়েই গা়ড়ি ঠেলিয়েছিল পুলিশ। সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই মিমের বন্যা বইছে। নেটাগরিকরা বলছেন, ছোটবেলায় পরীক্ষার ফল খারাপ হলে পেটানোর জন্য ঠিক এ ভাবেই তাঁদের দিয়েই বেল্ট আনানো হত!
ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুরের। রবিবার সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, চার জন যুবক একটি গাড়ি পিছন থেকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন। সকলেরই কোমরে দড়ি বাঁধা। তাঁরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন তাই চার জনের উপর কড়া নজর রেখেছেন এক জন পুলিশকর্মী। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
জানা গিয়েছে, মদ্যপান করার অভিযোগে ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিহারে যে হেতু মদ নিষিদ্ধ, তাই অভিযুক্তদের ধরে থানায় আনা হয়। তার পর তাঁদের পুলিশের ভ্যানে করেই আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কাছারি চকের কাছে এসে হঠাৎ পুলিশের গাড়িটি থেমে যায়। চালক দেখেন, গাড়ির ট্যাঙ্কে এক ফোঁটাও জ্বালানি নেই।
কী ভাবে অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়া যায়, তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পুলিশকর্মীদের কাছে। তার পরই অভিযুক্তদের নামিয়ে গাড়ি ঠেলার নির্দেশ দেন তাঁরা। ৫০০ মিটার এ ভাবেই গাড়ি ঠেলে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা।
ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকদের অনেকে ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা বলছেন, এটা অপরাধ। আবার তাঁদেরই একাংশ সেটি দেখে মজায় মেতেছেন। সমাজ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নানা মিম ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ভিডিয়োটি ছোটবেলার কথা মনে করাচ্ছে তাঁদের। তখন ঠিক এমন ভাবেই স্কুলের শিক্ষকেরা ছাত্রদের দিয়েই স্কেল আনাতেন, তারপর তা দিয়ে চলত মার। অনেকে বলছেন, পরীক্ষার ফল খারাপ হলে পেটানোর জন্য বাবা তাঁদেরই বলতেন বেল্ট এনে দিতে।
এক জন লিখেছেন, ‘‘বিহারকে যত দেখি, তত অবাক হয়ে যাই।’’
অন্য এক জনের ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য, ‘‘বিহার সারা ভারতের জন্য অনুপ্রেরণা। শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই বিহার আলোর উৎস!’’
কেউ কেউ আবার ওই পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy