খুদে বিস্ময় অভিষিক্ত কুমার গুপ্ত।
কেউ বলে ও ‘গুগল বয়’। কারও মতে তার ‘হাতির মতো স্মৃতি’। বয়স মোটে চার বছর ১০ মাস। ঝরঝর করে বলে দিচ্ছে দু’শোর বেশি দেশের নাম। সেই সব দেশের পতাকার রং, নকশাও মুখস্থ। শুধু তাই নয়, পর্যায় সারণীও ঠোঁটস্থ তার। গড়গড় করে বলে দেবে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের নামও। বিষ্ময় বালক অভিষিক্ত কুমার গুপ্তর ‘খেল’ দেখে তাজ্জব বনে যাচ্ছেন ঝাড়খন্ডের সরমন্দি গ্রামের বাসিন্দারা।
রাঁচি থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে তামাদ ব্লকের সরমন্দি গ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে অভিষিক্ত। বাবা কুলদীপ প্রসাদ গুপ্ত গ্রামেই চাষের কাজ করেন।
‘‘নতুন কিছু দেখলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা মুখস্থ করে নেয়। কয়েক মিনিটে নতুন বই পড়ে শেষ করে দেয়,’’ বললেন অভিষিক্তর বাবা কুলদীপ। গ্রামের সকলের কাছে বিস্ময় এই খুদে।
বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিষিক্ত
গত মাসেই অভিষিক্তর কথা জানতে পেরে তাকে পড়াশোনার জন্য অর্থ সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সরকারি উদ্যোগে রাঁচির দিল্লি পাবলিক স্কুল(ডিপিএস)-এ ভর্তি করা হয়েছে অভিষিক্তকে।
বুধবার থেকে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে সে। অভিষিক্তর প্রতিভা দেখে অবাক রাঁচি ডিপিএসের প্রাথমিক বিভাগের অধ্যক্ষ জয় প্রসাদও। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমার ২৬ বছরের শিক্ষকতায় কখনও এমন ছাত্র পাইনি। ওকে ঠিকমতো গাইড করতে পারাটাও আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিষিক্তর জন্য বিশেষজ্ঞর ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। অভিষিক্তকে স্পনসর করার কথা ঘোষণা করেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy