হাসপাতালে রোগীদের দৃশ্য। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে আবারও হাজির চণ্ডীপুরা ভাইরাস। গুজরাতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনে এই ভাইরাসের কারণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। বুধবারই গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ওই ১৫ জনের মধ্যে চার বছরের এক শিশুও রয়েছে। চণ্ডীপুরা ভাইরাসের কারণে সরকারি ভাবে জানানো এটাই প্রথম মৃত্যু গুজরাতে। বাকি ১৪ জনের মৃত্যুও এই ভাইরাসের কারণেই হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
গুজরাতের রাজকোট, আমদাবাদ, মোরবি-সহ বেশ কিছু জায়গা থেকে সংক্রমিতদের খোঁজ মিলছে। অন্তত ১০টি জেলায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা। বুধবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জন গুজরাতের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে দু’জন রাজস্থানের ও একজন মধ্যপ্রদেশের।
চণ্ডীপুরা ভাইরাসের মূল উপসর্গ হল জ্বর, বমি বমি ভাব, মাথা যন্ত্রণা এবং খিঁচুনি। মূলত এই ভাইরাসের বাহক হল মশা। চিকিৎসক মহলের মতে, শিশুদের এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চণ্ডীপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের হদিস মিলেছিল। সেই থেকেই এর নাম চণ্ডীপুরা ভাইরাস। পরে ২০০৩-০৪ সালে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল মধ্য ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতে সেই সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ৫৬-৭৫ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy