সুপ্রিম কোর্টে নিট মামলার শুনানি। —ফাইল চিত্র।
নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কারণে ব্যাপক পরিসরে প্রভাব পড়েছে বলে যদি কোনও পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস বিতর্কে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে ৪০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছে।
পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে মামলাকারীদের তরফে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী নরেন্দ্র হুডা। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, এমন কোনও প্রমাণ থাকতে হবে যা ইঙ্গিত করে, প্রশ্নফাঁসের জন্য পুরো পরীক্ষাই প্রভাবিত হয়েছে। যে কারণে গোটা ইউজি-নিট পরীক্ষা বাতিল করা যেতে পারে। মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “শুধুমাত্র ২৩ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ পরীক্ষার্থী ভর্তি হবেন, এই কারণে আমরা পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারি না। পুনরায় পরীক্ষা যদি নিতে হয়, তবে তার জন্য পোক্ত প্রমাণ থাকতে হবে যে, গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাতেই এর প্রভাব পড়েছে।”
উল্লেখ্য, নিট মামলাকে কেন্দ্র করে সামাজিক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিট মামলা শুনতে সম্মত হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত একাধিক মামলা, গুগল বনাম সিসিআই মামলাকে পিছনে রেখে এই নিট মামলাকে আগে শোনার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই মামলায় কী রায় হয়, লাখ লাখ পড়ুয়া সেই দিকে তাকিয়ে আছেন।”
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি মামলাকারীদের আইনজীবীর থেকে জানতে চান, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে কত জন ডাক্তারিতে ভর্তি হতে পারেন। তাতে হুডা জানান, সংখ্যাটা ১ লাখ ৮ হাজার। পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে যুক্তি সাজিয়ে তিনি বলেন, “যদি পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়, তা হলে গত বার যে ২৩ লাখ পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’’ কিন্তু সেই যুক্তি মানতে চাইছে না আদালত। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “পরীক্ষার্থীরা আবার পরীক্ষায় বসতে চাইছেন, শুধুমাত্র এই কারণে আমরা পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারি না। যদি পরীক্ষা ব্যবস্থায় সামগ্রিক ভাবে প্রভাব পড়ার কোনও প্রমাণ মেলে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তা হতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy