মায়াবতী এবং অখিলেশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করলেন উত্তরপ্রদেশের ৯ জন ‘দলহীন’ বিধায়ক। এঁরা প্রত্যেকেই ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র টিকিটে জিতেছিলেন। কিন্তু গত সাড়ে ৪ বছরে বিভিন্ন সময় দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বিএসপি-থেকে বহিষ্কৃত হন। এঁরা সকলেই আগামী বিধানসভা ভোটে অখিলেশের হাত ধরতে পারেন বলে জল্পনা।
চার বারের বিধায়ক রামবীর উপাধ্যায় এবং প্রভাবশালী মুসলিম বিধায়ক মহম্মদ আসলাম রাইনির নেতৃত্বে অখিলেশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন বহিষ্কৃতেরা। রাইনি জানান, গত কয়েক বছরে তাঁদের বার বার অপমান করেছেন মায়াবতী ঘনিষ্ঠ বিএসপি নেতা সতীশ মিশ্র। তবে বহিষ্কৃত দুই প্রবীণ বিএসপি বিধায়ক লালজি বর্মা এবং রাম অচল রাজভরকে মঙ্গলবার দেখা যায়নি। রাইনি বলেন, ‘‘লালজি আমাদের নেতা। তাঁকেও সতীশ অসম্মান করেছেন।’’
২০১৭-র বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ১৯টি আসনে জিতেছিল বিএসপি। এর মধ্যে ১১ জন বিধায়ককে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করেছেন মায়াবতী। এঁদের মধ্যে চলতি মাসেই বিএসপি পরিষদীয় দলের নেতা লালজি এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাম অচলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি আসন উপনির্বাচনে খুইয়েছে বিএসপি।
ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই অখিলেশ জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা ভোটে ছোট দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা করতে পারে সমাজবাদী পার্টি। সে ক্ষেত্রে, বহিষ্কৃত ১১ বিধায়ক নতুন কোনও দল গড়ে অখিলেশের সহযোগী হতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। রামবীর জানিয়েছেন, শীঘ্রই তাঁর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি আসন সমঝোতা করে লড়লেও ভোটের কয়েক মাস পরেই সেই জোট ভেঙে যায়। আগামী বছর মার্চে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy