হামলাস্থল: ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন সাত পুলিশকর্মী। সেই জায়গা ঘুরে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবার। ছবি: পিটিআই
ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় মাওবাদী হানায় নিহত হলেন সাত পুলিশকর্মী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সফর শুরুর দিনেই এই হামলায় চিন্তিত প্রশাসন। তবে মুখ্যমন্ত্রী রামন সিংহের মতে, মাওবাদী নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসা যেতেই পারে। মাওবাদী সমস্যা উন্নয়নের মাধ্যমে মেটানো সম্ভব।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ দুপুরে দন্তেওয়াড়ার চোলনার-কিরানডুল রাস্তার উপরে টহল দিচ্ছিল ছত্তীসগঢ় আর্ম়ড ফোর্স ও ডিস্ট্রিক্ট ফোর্সের একটি যৌথ দল। ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির জন্য ট্রাকে মালমশলা সরবরাহ করা হচ্ছিল। তারই নিরাপত্তার জন্য টহলদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। দুপুর বারোটা নাগাদ একটি কালভার্টের কাছে যৌথ বাহিনীর গাড়িতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। রামকুমার যাদব, টিকেশ্বর ধ্রুব, শালিকরাম সিন্হা, বিক্রম যাদব, রাজেশকুমার সিংহ ও রবিনাথ পটেল নামে ছ’জন জওয়ান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে মৃত্যু হয় অর্জুন রাজভড় নামে আর এক জওয়ানের। নিহত জওয়ানদের কাছ থেকে দু’টি একে-৪৭-সহ বেশ কিছু অস্ত্র লুট করেছে মাওবাদীরা। তাদের খোঁজে ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে বাহিনী।
পুলিশকর্তাদের মতে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলি, ওড়িশার মালকানগিরি ও ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে বাহিনীর অভিযানে মাওবাদীদের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারই বদলা হিসেবে এই হামলা। আগামিকাল সরগুজা জেলায় বস্তার এলাকার যুবকদের নিয়ে তৈরি সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়নের ‘পাসিং আউট প্যারেড’-এ যোগ দেবেন রাজনাথ। সে জন্য আজই ছত্তীসগঢ়ে এসেছেন তিনি। সে দিনই এই হামলা চালিয়ে মাওবাদীরা কেন্দ্রকেও বার্তা দিতে চেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রামন সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ থেকেই বোঝা যায় রাস্তার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো থেকেও গ্রামবাসীদের বঞ্চিত করতে চায় মাওবাদীরা। তবে এ ভাবে বাহিনীর মনোবল কমানো যাবে না। গোটা ছত্তীসগঢ়ে সারা বছরের জন্য ব্যবহারযোগ্য রাস্তা তৈরি হবেই।’’ জওয়ানদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও।
তবে গত কাল অন্য এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাওবাদী নেতারা আলোচনা চাইলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্যের বিজেপি সরকারের আপত্তি নেই। তবে মাওবাদীদের পলিটব্যুরো সদস্যেরা যোগ না দিলে আলোচনায় লাভ হবে না বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। যে সব এলাকায় ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে সেখানে মাওবাদী কার্যকলাপও কমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy