৮০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৃদ্ধ। এই বয়সে বাবা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, মানতে পারেননি ৫২ বছরের পুত্র। শুরু হয় বাবা-ছেলের বিতণ্ডা। অভিযোগ, তাঁর দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ছেলেকে গুলি করে খুন করে ফেলেছেন ওই বৃদ্ধ। এমনকি, আক্রমণের চেষ্টা করেন বৌমাকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোটে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রামভাই বোরিচাকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার তাদের কাছে খবর আসে রাজকোটের জশদানে একটি বাড়িতে গুলি চলেছে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় গুলিবিদ্ধ এক প্রৌঢ়কে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃতের নাম প্রভাত বোরিচা। আর তাঁকে গুলি করে খুন করেছেন বলে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বয়স ৮০ বছর এবং তিনি সম্পর্কে মৃতের বাবা।
মৃতের স্ত্রী জয়াবেনের দাবি, শ্বশুর দ্বিতীয় বার বিয়ে করবেন বলে জানানোর পর অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। এই বয়সে বাবা কেন বিয়ে করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন ছেলে। আপত্তি জানান পরিবারের অন্যান্য সদস্য। গত কয়েক দিন ধরে ওই নিয়ে অশান্তি চলছিল। তখন এক বার শ্বশুর হুমকি দেন যে, তাঁর বিয়েতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকেই তিনি খুন করে ফেলবেন।
আরও পড়ুন:
গত সোমবার সকালে জয়াবেন স্বামী এবং শ্বশুরকে চা খেতে দেন। বাবা-ছেলে একই ঘরে ছিলেন। মহিলার দাবি, তিনি দু’জনকে চা দিয়ে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন দু’বার গুলির আওয়াজ শোনেন। তিনি এক দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুটে যান। কিন্তু দেখেন দরজা বন্ধ। কয়েক সেকেন্ড বাদে শ্বশুর বন্দুক হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাঁকেও আক্রমণ করতে যান। তিনি কোনও ক্রমে পালিয়ে যান। এর কিছু ক্ষণ বাদে প্রভাত ও জয়াবেনের ছেলে বাড়িতে ঢোকেন। মায়ের কাছে সব শুনে তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন, মেঝেতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবা। দাদু বাড়িতে নেই। যুবক পুলিশকে খবর দেন। তার পরেই প্রভাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৮০ বছরের অভিযুক্তের স্ত্রী মারা যান ২০ বছর আগে। সম্প্রতি ওই বৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। কিন্তু পরিবারের সকলে তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেই কারণে ছেলেকে তিনি গুলি করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।