ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল। কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন আমন্ত্রিতরা। বিয়েও মিটেছিল ভালয়-ভালয়। কিন্তু কনে বিদায়ের সময় ‘বিপত্তি’। বরের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে নারাজ নববধূ। ব্যাপারটা কী? কিছুতেই খোলসা করছিলেন না কনে। পরে যখন কারণ জানালেন, এক রাতেই ভাঙল বিয়ে।
রাজস্থানের ঢোলপুরের বাসিন্দা গিরিশ কুমারের মেয়ে দীপিকার সঙ্গে করৌলির যুবক প্রদীপের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। মেয়ের বিয়েতে বিশাল আয়োজন করেছিলেন গিরিশ। অনেক ধুমধাম হয়েছে। প্রচুর লোক পাত পেড়ে খেয়েছেন। কিন্তু গন্ডগোলের শুরু ঠিক বিয়ে মিটে যাওয়ার পর।
বিয়ের পর দিন সকালে বরের সঙ্গে গাড়িতে উঠতে নারাজ দীপিকা। কারণ কী? দীপিকার জবাব, ‘পাত্র সুস্থ নয়!’ মানে? কনের দাবি, তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার সময় বরের হাত কাঁপছিল। তিনি সেটা ভাল করেই লক্ষ্য করেছেন। তাই কনে নিশ্চিত যে, বরের নিশ্চয়ই কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সকলকেই কনে জানিয়ে দেন, ‘দুর্বল’ বরের সঙ্গে কিছুতেই তিনি সংসার করবেন না তিনি। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয়নি। শেষমেশ নববধূকে না নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রদীপ।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, বর একটি সরকারি স্কুলে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের চাকরি করেন। কনে স্নাতক পাশ করেছেন। তাঁরও শিক্ষকতা করার ইচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএড করেছেন এবং চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন। এখন বর-কনের দুই পরিবার চেষ্টা করছে সদ্য শুরু হওয়া সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে। কিন্তু কনে ওই বরের সঙ্গে সংসার করতে নারাজ।