প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও রয়েছে তাঁরই হাতে। তাই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে প্রত্যাশা কিছুটা বেশিই ছিল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ঊর্ধ্বসীমা ২৬ থেকে ৪৯ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে সেই প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টা করলেন জেটলি। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১২.৫ শতাংশ বাড়াতে চান তিনি।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ (এফআইপিবি)-র মাধ্যমে যে সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তাতে এফডিআইয়ের ঊর্ধ্বসীমা ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল ইউপিএ সরকার। যে সব ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন তাতে ১০০% এফডিআইয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। এ বার এফআইপিবি-র মাধ্যমে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এফডিআইয়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৪৯% করেছেন জেটলি। উৎপাদক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ভারতীয়দের হাতে থাকতে হবে।
আজ জেটলি বলেন, “এখন বিশ্বে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সব চেয়ে বড় আমদানিকারক ভারত। এ ক্ষেত্রে দেশীয় উৎপাদন এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। প্রচুর বিদেশি মুদ্রা খরচ করে বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে সরঞ্জাম কিনেই প্রয়োজন মেটাতে হয়।”
এফডিআই বাড়ার সিদ্ধান্তে শিল্প মহল খুশিই হবে বলে আশা ছিল কেন্দ্রের। তবে বাজেট ঘোষণার পরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম পড়েছে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে এফডিআইয়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। তাঁর কথায়, “গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের ক্ষেত্রে এফডিআইয়ের সীমা বাড়ানোর জন্য অনেক দিন ধরেই চাপ দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী শিবির। কিন্তু ১৯৯১ থেকে কোনও সরকারই তা নিয়ে বেশি দূর এগোতে চায়নি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে নির্দিষ্ট কারণ ছিল।”
লাদাখ সীমান্তে চিনের রাস্তা, রেলপথ তৈরির তৎপরতা নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। বাজেটে তাই সীমান্তে রেলপথ ও পরিকাঠামো তৈরিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক পদ এক পেনশন নীতির অধীনে সেনার পেনশন সংক্রান্ত বিভেদ মেটাতে ১ হাজার কোটি বরাদ্দ করেন জেটলি। ইন্ডিয়া গেটের কাছে একটি যুদ্ধ স্মারক, সংগ্রহশালা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০০ কোটি।
বেশ কিছু প্রতিরক্ষা চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করে ফেলতে চায় সশস্ত্র বাহিনী। বাজেট তাদের কতটা সাহায্য করে তাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy