ছবি: পিটিআই।
কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসের বলি পুলিশ। আজ দুপুরে শোপিয়ানে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে চার পুলিশকর্মীর। ঘটনাচক্রে আজ সকালেই অনন্তনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায় দুই জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে এক জন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ স্থানীয় কম্যান্ডার।
পুলিশ জানায়, শোপিয়ান জেলার আরহামায় এক ফলপট্টিতে পুলিশের ওই দলটির উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। এক শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ অফিসারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই চার জন। একটি গাড়ি সারাতে বাজারের দিকে যান তাঁরা। সেখানেই হামলা চলে। চার পুলিশকর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন। বাকি দু’জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। নিহত পুলিশকর্মীরা হলেন কনস্টেবল ইশফাক আহমেদ মির, কনস্টেবল জাভেদ আহমেদ ভাট, কনস্টেবল ইকবাল মির এবং এসপিও আদিল মনজ়ুর ভাট। তাঁদের সঙ্গে থাকা তিনটি একে-৪৭
রাইফেল-ও ছিনতাই করে নেয় জঙ্গিরা। অপরাধীদের খুঁজতে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তবে আজ সকালে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। সকালে অনন্তনাগের মুনিওয়ার্ড এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায় বাহিনী। তাদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড এক জঙ্গি ও তার সঙ্গীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আলতাফ আহমেদ দার ওরফে খচরু নামে হিজবুলের এক শীর্ষ স্থানীয় নেতার। নিহত হয়েছে তার সঙ্গী ওমর রশিদ ওয়ানি-ও। এদের দু’জনেরই বাড়ি কুলগামে। কাশ্মীরে নাশকতামূলক কাজে গত এক দশক জড়িত ছিল খচরু। বিশেষত নিরাপত্তা বাহিনীর উপর একাধিক হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল সে। তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে ইনসাস এবং একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।
নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযোগ, আজ প্রথম দিকে জঙ্গিদের পালাতে সাহায্য করছিলেন স্থানীয়দের একাংশ।
জঙ্গিদের ধরতে গেলে তাঁদের কেউ কেউ বাধাও দেন। বাহিনী লক্ষ্য করে উড়ে আসে পাথর। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি ছোড়ে। আহত হয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy