তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর ওড়িশার পলিটেকনিক কলেজ জুড়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে বলে দাবি। প্রতীকী ছবি।
ওড়িশার একটি কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মেয়ের এই পরিণতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন তাঁর মা। মহিলার দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে লাগাতার র্যাগিংয়ের জেরে এ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁর মেয়ে। যদিও মঙ্গলবারের এই ঘটনার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাজপুর জেলার কোরেই থানা এলাকার একটি পলিটেকনিক কলেজের হস্টেলে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোরেই থানার ইনস্পেক্টর সঙ্ঘমিত্রা মল্লিক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর কলেজ জুড়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ছাত্রীর মা। তাঁর দাবি, চাকরির ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেলেও তাতে বাধা দিয়েছিলেন মেয়ের এক সহপাঠী। তাঁর কথায়, ‘‘ক্যাম্পাসে প্লেসমেন্টে নির্বাচিত হওয়ার কথা জানিয়ে আমার মেয়েকে মেসেজ করেছিলেন কলেজের এক ছাত্র। সেই সঙ্গে তিনি হুমকি দেন যে, ওই প্লেসমেন্টের জন্য তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। মেয়ে এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে, হস্টেল ছাড়তে চেয়েছিল। এর আগের দিন আমার মেয়েকে পেটানোর চেষ্ট করেছিলেন আর এক ছাত্র।’’ মৃতার মায়ের আরও দাবি, ‘‘ওই ছাত্রদের ভয়েই এ সব কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায়নি আমার মেয়ে।’’
এই অভিযোগ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে কোরেই থানার ইনস্পেক্টর সঙ্ঘমিত্রা মল্লিক বলেন, ‘‘এই মামলার তদন্তে সমস্ত সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy