অন্ধ্র এবং ওড়িশা পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন ২৪ জন মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ছাড়াও রয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা গজরলা রবি ওরফে উদয় এবং চলপতি ওরফে আপ্পা রাও।
আজ ভোরে ওড়িশার মালকানগিরি জেলার চিত্রকোণ্ডায় এই অভিযান চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী ‘গ্রেহাউন্ড’ এবং ওড়িশা পুলিশ। মাওবাদীদের পাল্টা গুলিতে জখম হন ‘গ্রেহাউন্ড’-এর দুই সিনিয়র কম্যান্ডো। চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাঁদের বিশাখাপত্তনমের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আবুবকর নামে এক কম্যান্ডোর।
মালকানগিরির এসপি মিত্রভানু মহাপাত্র জানান, বৈঠক করার জন্য প্রায় ১০০ জন মাওবাদীদের একটি দল চিত্রকোণ্ডার জঙ্গলে জমায়েত হয়েছেন— গোয়েন্দাদের এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গত কাল গভীর রাত থেকে যৌথ ভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে অন্ধ্র ও ওড়িশার পুলিশ। আজ ভোরে মাওবাদীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই হয়।
গুলিযুদ্ধে মাওবাদী নেতা উদয় এবং চলপতির মৃত্যুকে বড় ‘সাফল্য’ হিসেবেই দেখছে পুলিশ। অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির সম্পাদক উদয় এবং পূর্বাঞ্চলীয় সম্পাদক চলপতির মাথার দাম ছিল ২০ লক্ষ টাকা করে। এ ছাড়াও নিহত হয়েছেন চলপতির স্ত্রী অরুণা, বাকুরি ভেঙ্কট রামান্না মূর্তি এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ ওরফে আর কে-এর ছেলে। অরুণার মাথার দাম ছিল পাঁচ লাখ টাকা। ঘটনাস্থলে রামকৃষ্ণও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি এবং আরও বেশ কিছু মাওবাদী পালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিহত হয়েছেন ৭ জন মহিলা মাওবাদীও। ওড়িশার ডিজিপি কেবি সিংহ জানিয়েছেন, জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি ঘাঁটিরও সন্ধান মিলেছে। টনাস্থল থেকে ১০টি রাইফেল, চারটি একে-৪৭, তিনটি এসএলআর-সহ বহু অস্ত্র মিলেছে।
এ দিনই হায়দরাবাদ হাইকোর্টে পেশ করা এক আর্জিতে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী সি চন্দ্রশেখর জানান, মাওবাদীদের পুলিশ ভুয়ো সংঘর্ষে মেরেছে। জঙ্গিদের দেহ অন্ধ্রপ্রদেশে আনা হলে সেগুলি তদন্তের জন্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy