বরোদা শহরের থেকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার কুমির। ছবি: পিটিআই।
অগস্টের শেষে নাগাড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়েছিল বিশ্বামিত্রী নদীর। সেই জল প্রবেশ করেছিল বরোদা শহরে। সঙ্গে ঢুকেছিল বিশ্বামিত্রী নদীর একের পর এক কুমির। এই জলমগ্ন পরিস্থিতির পর বরোদার লোকালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪টি কুমির। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রবিবার এই তথ্য দিয়েছে গুজরাতের বন দফতর। বিশ্বামিত্রীর জলস্তর নামতেই লোকালয় উদ্ধার হওয়া কুমিরগুলিকে আহার নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বরোদা রেঞ্জের বন আধিকারিক করণসিংহ রাজপুত বলেছেন, “২৪টি কুমির ছাড়াও আমরা আরও ৭৫টি অন্য প্রাণী উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বড় কচ্ছপ, যেগুলির ওজন প্রায় ৪০ কেজির কাছাকাছি। একটি সজারু এবং বেশ কিছু বিষধর সাপও উদ্ধার হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্বামিত্রী নদীতে প্রায় ৪৪০টি কুমিরের বাস রয়েছে। আজওয়া বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পর অনেক কুমিরই বিশ্বামিত্রী থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল।
বরোদার ওই বন আধিকারিক জানিয়েছেন, সবচেয়ে ছোট মাপের যে কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে সেটি দুই ফুট লম্বা। লোকালয় থেকে উদ্ধার সবচেয়ে বড় কুমিরটি লম্বায় ১৪ ফুট। গত বৃহস্পতিবার বিশ্বামিত্রী নদীর ধারেই কামনাথ নগর এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৪ ফুটের কুমিরটি। এ ছাড়া আরও দু’টি ১১ ফুট লম্বা কুমির উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বামিত্রী নদী বরোদা শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে। নদীর জল শহরে প্রবেশ করায়, তার সঙ্গে প্রবেশ করেছিল কুমিরও। একে জলমগ্ন শহর, তার উপর কুমিরের আতঙ্কে বাড়ি থেকে বার হতে পারছিলেন না বরোদার সাধারণ মানুষদের একটি বড় অংশ। সমাজমাধ্যমে ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় বরোদা শহরে কুমিরের সেই দৃশ্য ধরা পড়েছিল। তবে বরোদার বন আধিকারিক জানিয়েছেন, কুমিরে-মানুষে মুখোমুখি হওয়ার কোনও অঘটন এই ক’দিনে ঘটেনি। তিনি বলেন, “সাধারণ ভাবে কুমির মানুষকে আক্রমণ করে না। নদীতে তারা মাছ ও অন্য মৃত প্রাণীর দেহ খেয়েই বেঁচে থাকে। সারমেয়, শূকর বা সমতুল্য কোনও ছোট প্রাণীও মেরে খেতে পারে তারা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy