Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪
Eye Surgery

রাজস্থানের সরকারি হাসপাতালে ছানির অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি হারালেন ১৮ জন!

স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থান সরকারের চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে রোগীদের ছানির অস্ত্রোপচার হয় ওই সরকারি হাসপাতালে।

Representational Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জয়পুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩০
Share: Save:

রাজস্থানের সরকারি হাসপাতালে ছানির অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন ১৮ জন। আর তার পরই দৃষ্টিশক্তি হারানোর অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে সাওয়াই মান সিংহ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল এটি।

স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে সাওয়াই মান সিংহ হাসপাতালে ছানি অস্ত্রোপচার করানোর জন্য ভর্তি হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন রোগী। রাজস্থান সরকারের চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে রোগীদের ছানির অস্ত্রোপচার হয় ওই সরকারি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পর থেকেই ওই রোগীদের মধ্যে ১৮ জন চোখে ব্যথার অভিযোগ জানান।

হাসপাতালে সেই খবর পৌঁছতেই ওই ১৮ জনকে আবার ভর্তি হতে বলা হয়। সেই পরামর্শ মতো রোগীরা আবার সাওয়াই মান সিংহ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিযোগ, চোখের অবস্থার কোনও উন্নতি তো হয়ইনি। বরং দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই ১৮ জন।

ওই রোগীদের মধ্যে এক জন ছন্দা দেবী ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, “এক চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। চোখে প্রচণ্ড ব্যথা। জল পড়া থামছে না। চিকিৎসক বলেছেন, এটি একটি সংক্রমণ। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।” রোগীদের আত্মীয়রা হাসপাতালের পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, চোখে ব্যথা হওয়া সত্ত্বেও রোগীদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। রামভজন নামে আরও এক রোগী বলেন, “গত ২৩ জুন অস্ত্রোপচার হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়েছিল। এখন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।”

তবে রোগীদের এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক পঙ্কজ শর্মা বলেন, “চিকিৎসকদের তরফে কোনও রকম গাফিলতি হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Eye Surgery cataract Rajasthan Govt Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE