কয়েক দশকের পুরনো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আর নয়। এ বারে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে সামনে রেখে এগোবে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর হয়ে নেহরু জমানার যোজনা কমিশন ভেঙেছেন মোদী। এ বার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনারও অবসান ঘটতে চলেছে। সোভিয়েত মডেলের অনুকরণে এত দিন এ দেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরি করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নেওয়া হতো। এ বারে ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরি হবে।
যোজনা কমিশন ভেঙে দিয়ে মোদী যে নীতি আয়োগ তৈরি করেছিলেন, তারাই নতুন পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করেছে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী ও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই এই নয়া রূপরেখা পেশ হবে। নীতি আয়োগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষ থেকে শুরু হবে ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ।
নীতি আয়োগের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে বেশি মুখ খুলতে নারাজ। অন্দরমহলের খবর, বৈঠকে ভাইস-চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়া জানিয়েছেন, আগে শিল্পের ক্ষেত্রে মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিই বিনিয়োগ করত। তার পর দেশি বা বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলি কোথায় কত লগ্নি করবে, তা-ও সরকারই নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু বাজার অর্থনীতির যুগে কোথায় কতটা লগ্নি হবে, কত উৎপাদন হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কাজেই পুরনো ধাঁচের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মেনে চললে এগোনো যাবে না। নীতি আয়োগ সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০৩০-এর ‘সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল্স’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরি হবে।
‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে সাত বছরের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও রণকৌশল তৈরি হবে। যার নাম হবে ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা’। রাজকোষের পরিস্থিতি বিচার করে এই সাত বছরের পরিকল্পনার মধ্যেও আবার তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি হবে। আর্থিক বৃদ্ধির হার, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজকোষের অবস্থা অনুযায়ী ঠিক হবে, পরিকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে ওই তিন বছরে কত ব্যয়বরাদ্দ হবে। আগামী বাজেটের আগেই এই ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখন দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চলছে। চলতি অর্থবর্ষেই (২০১৬-’১৭)-তা শেষ হচ্ছে। চলতি বছরের বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এর পর থেকে তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি হবে। প্রথমে ২০১৭-’১৮ থেকে ২০১৯-’২০, এই তিন বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি হবে। এর পর থেকে নতুন অর্থ কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হবে। তখনই জানা যাবে, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির জন্য কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হবে। সেই অনুযায়ী নতুন অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy