দিল্লিতে হিংসা। ছবি— রয়টার্স।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে দিল্লির বুকে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ১৫টি মামলা দায়ের হল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৬ জন পুলিশকর্মী। ৮টি বাস এবং ১৭টি ব্যক্তিগত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে নভেম্বরের শেষ থেকেই দিল্লি সীমানায় আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। এত দিন তাঁদের আন্দোলন মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। রাজধানীর কোন পথে মিছিল যাবে তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছিল কৃষক সংগঠনের নেতাদের। ট্র্যাক্টর নিয়ে লালকেল্লা যাওয়ার অভিপ্রায় নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন নেতারা। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র্যালি রাস্তায় নামতেই পরিস্থিতির বদল ঘটে।
বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গে। চলে কাঁদানে গ্যাস ও লাঠি। পাল্টা মারমুখী হয় আন্দোলনকারীদের একাংশ। একটি দল পৌঁছে যায় লালকেল্লাতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে আন্দোলনকারীদের সীমানায় ফেরার জন্য বার বার আবেদন করতে থাকেন নেতারা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহও আন্দোলনকারীদের সংযত হওয়ার আবেদন করে সীমানায় ফিরে যেতে বলেছেন। ভুল আচরণ করে লড়াইকে বৃথা নষ্ট না করার আবেদন জানিয়েছেন যোগেন্দ্র যাদবও।
ট্র্যাক্টর র্যালিতে অংশ নেওয়া অনেকের হাতে তলোয়ার, কৃপাণের মতো অস্ত্র ছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার সময় তা নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের। এই সব হিংসার ঘটনা মিলেই দায়ের হয়েছে ১৫টি মামলা। মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর থেকেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। পরিস্থিতির মোকাবিলা না করতে পারায় দিল্লি পুলিশের দিকেও আঙুল তুলছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy