দু’বছর আগে অসমের নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। যেতে হয়েছিল ‘বিদেশি’-দের জন্য নির্ধারিত শরণার্থী শিবিরে। ছবি: টুইটার
ছ’মাস আগেও আশায় বুক বেঁধেছিল অসমের চন্দ্রধর দাসের পরিবার। ১০৪ বছরের চন্দ্রধর ফোনে মোদীর বক্তব্য শুনতে শুনতে বলতেন, ‘‘মোদী আমার ভগবান। সিএএ আইন এসেছে। এ বার আমরা ভারতের নাগরিকত্ব পাব।’’ কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হল না তাঁর। ‘বিদেশি’ তকমা নিয়েই প্রয়াত হলেন অসমের বাসিন্দা।
দু’বছর আগে অসমের নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। যেতে হয়েছিল ‘বিদেশি’-দের জন্য নির্ধারিত শরণার্থী শিবিরে। সেই ‘বিদেশি’র তকমা আর মুছতে পারলেন না তিনি। তাঁর মেয়ে বলেছেন, ‘‘বাবার একটাই আশা ছিল। নতুন আইনে বুঝি ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হল না। ‘বিদেশি’ তকমা নিয়েই শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হল তাঁকে।’’
রবিবার বিকেলে অসমের বরাক উপত্যকার বাসিন্দা চন্দ্রধর প্রয়াত হলেন তাঁর ছেলের তৈরি করা ছোট্ট টিনের বাড়িতে। তাঁর মৃত্যুতে যেন অন্য রকম আফসোস তাড়া করছে পরিবারকে। তিনি চেয়েছিলেন ভারতীয় পরিচয়টুকু পেতে। মেয়ের অভিযোগ, সেই আশা পূরণ করতে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন তিনি। বার বার আদালতের কাছেও আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এখনও এই গোটা পরিবার প্রশাসনের চোখে ‘বিদেশি’।
মোদী সরকার বারবার বলেছেন, বিশেষত হিন্দু যে সমস্ত শরনার্থী এ দেশে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অসমের বরাক উপত্যকায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাই এই আইনের অসংখ্য সমর্থক রয়েছেন। কিন্তু সরকার এখনও আইন প্রয়োগ করেনি। উল্টে হিন্দু মানুষেরাই বাদ পড়ছেন বলে অভিযোগ অনেকের।
আরও পড়ুন: মত্ত স্বামী জুয়ায় বাজি রাখল স্ত্রীকে, বন্ধুরা ধর্ষণ করল সামনেই
আরও পড়ুন: মদন অনুগামীদের গোষ্ঠী কোন্দল আড়িয়াদহে, গুলি, নামল র্যাফ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy