একশো দিনের প্রকল্পে আরও স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের কর্মকাণ্ড ‘জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেম’-এর (জিআইএস) আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু আজও ত্রিপুরায় এই প্রকল্পের কাজকর্ম জিআইএস-এর আওতাভুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন অংশে অভিযোগ উঠেছে, বহু দিন ধরেই রেগার জন্য চিহ্নিত একই কাজ ‘চোদ্দ বার’ ধরে দেখিয়ে শ্রমিকদের টাকা বেহাত করা হচ্ছে। এমনকী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যেই এই অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার শেষ বেলায় প্রকল্পের উপর নজরদারি বাড়ানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে শ্রমিকের মজুরির পরিমাণ নির্ধারণের ব্যবস্থা চালু করেছিল। তাতেও ‘দুর্নীতি’ ঠেকানো যায়নি। প্রকল্পের কাজকর্ম নিয়ে সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরাতেও অভিযোগ উঠেছে বারে বারে।
এ বার সেই কাজে ‘স্বচ্ছতা’ আনার উদ্দেশে ‘জিআইএস’-এর মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামের রাস্তাঘাট, জলাশয় সংস্কার বা পুকুর খনন, বাগান, পার্ক ইত্যাদি স্থায়ী সম্পদ তৈরির পাশাপাশি জঙ্গল সাফ করা, আগাছা দূর করার কাজ দেওয়া হয়ে থাকে প্রকল্পের শ্রমিকদের। কেন্দ্র এখন জোর দিচ্ছে বাস্তবেই ‘স্থায়ী সম্পদ’ তৈরি করতে। এই স্থায়ী সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে বাস্তব চিত্রের সঙ্গে প্রকল্পের খরচের হিসাব মিলছে না বলেই রাজ্যের বিরোধীদের অভিযোগ। এই পদ্ধতিতে, শ্রমিকরা কোনও পুকুর খনন করলে, এখন অফিসে বসেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বা ত্রিপুরার গ্রামোন্নয়ন দফতর পুকুরটা কোথায় খনন করা হয়েছে, তা মাউস টিপেই কম্পিউটারে দেখতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy