জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় এখন একের পর এক চমক।
গত কালই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পিডিপিকে সমর্থন দেওয়ার চাল দিয়েছিল ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স। কাশ্মীরের ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় মেহবুবা মুফতির পিডিপির সঙ্গে সরকার গঠনের আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতেই মুফতি শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলতে ওমর আবদুল্লাদের তরফে প্রস্তাব এসেছিল। পিডিপি কী জবাব দেয়, তা দেখতে আগ্রহ ছিল সব স্তরে। আর এ দিন মেহবুবাদের পাল্টা প্রস্তাব সকলকেই চমকে দিয়েছে। পিডিপি মুখপাত্র নঈম আখতার মন্তব্য করেছেন, “রাজ্যে সরকার গড়তে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নিয়ে মহাজোটের রাস্তাও খোলা রয়েছে।” নতুন অঙ্কের জল্পনাও শুরু হয়েছে। তবে অনেকেরই ব্যাখ্যা, পিডিপির এই প্রস্তাব বিজেপির উপরে চাপ সৃষ্টি করতেই। এর ফলে জোট সরকার গড়ার আলোচনায় বিজেপি অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে যাবে। তবে পিডিপি কিংবা ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো কাশ্মীরের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক মতভেদও প্রবল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ কিংবা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে সংঘাত তো বহু পুরনো। পাশাপাশি, কাশ্মীর উপত্যকায় একটিও আসনে জিততে পারেনি বিজেপি। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সংখ্যার পাশাপাশি এই সব বিষয়ও ওমর, মেহবুবারা বিবেচনা করছেন।
এ ছাড়া, রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি ছাড়তে রাজি হয়নি বিজেপি। ছ’বছরের মেয়াদের একটি অংশে হলেও তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছে বলেই খবর। পিডিপি এই প্রস্তাবে ততটা আগ্রহী নয়। পাশাপাশি, কংগ্রেসও মেহবুবাকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সরকার গড়ার আলোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব পক্ষ। আর সংঘাতের কথা দূরে ঠেলে আপাতত কাশ্মীরের দুই প্রতিপক্ষের গলায় শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক সমঝোতার কথা। মহাজোট হবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে এই নতুন অঙ্কের প্রস্তাব নিঃসন্দেহে মোদী, অমিত শাহদের চিন্তা বাড়াবে। ৮৭ আসনের কাশ্মীর বিধানসভায় বিজেপির শক্তি ২৫।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy