ফের ধর্ষণ অখিলেশের রাজ্যে।
বছর তিরিশের মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করল লখনউ পুলিশ। অভিযুক্তের নাম রাম সেবক। রামকে এই কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে রামের ছেলে, ছেলের দুই বন্ধু ও রামেকর বন্ধু এক ব্যবসায়ীকে।
গত বৃহস্পতিবার মোহনলালগঞ্জ এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুল চত্বর থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার নগ্ন, ক্ষতবিক্ষত দেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, মহিলার যৌন অঙ্গে ভোঁতা কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রবল রক্তপাত ও গভীর ক্ষতের জন্যই মারা যান তিনি। নির্ভয়া-কাণ্ডের পর যে নতুন আইন তৈরি হয় তার ভিত্তিতেই এর পর দায়ের হয় ধর্ষণের মামলা।
তিন বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ‘ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট’ পদে যোগ দেন ওই মহিলা। দু’টি সন্তানও রয়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ওই মহিলা। হাসপাতালে কাজের সূত্রেই রামের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।
সরস্বতী নগরে নিগৃহীতার বাড়িতে তার যাতায়াতও ছিল। ঘটনার দিন লাল শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়েছিল সে। রামের বাড়ি থেকে সেগুলি উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই পুলিশকর্মীকে। ঘটনার পর পরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়েছিল মহিলার রক্তাক্ত দেহের ছবি। লখনউয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল সুতপা সান্যাল জানিয়েছেন, ছবি ফাঁসের ঘটনায় জড়িত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্য পুলিশের উপরে ভরসা না রেখে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy