আমন্ত্রণ পেলেও লালকৃষ্ণ আডবাণীর ৫০তম বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আপ নেতার এই অনুপস্থিতি নিয়ে এখন জলঘোলা চলছে দিল্লিতে।
গত কাল লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে তাঁর বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতারা। সেই সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সাংস্কৃতিক জগতের কিছু ব্যক্তিত্ব ও ধর্মগুরু, এমনকী কংগ্রেস-এনসিপি নেতারাও। কিন্তু আসেননি কেজরীবাল। আডবাণীর কথায়, “তিনি কেন এলেন না আমি জানি না। কিন্তু আমি তো আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। টেলিফোনও করা হয়েছে।” দিল্লিতে জয়ের পরেও কেজরীবালকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন আডবাণী।
প্রশ্ন হল, এই ভোজে তিনি গেলেন না কেন?
আপের পক্ষ থেকে অবশ্য স্বীকার করা হচ্ছে, আডবাণীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ফোন অবশ্যই করা হয়েছিল। কিন্তু না যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, লিখিত ভাবে কোনও আমন্ত্রণ করা হয়নি। কিন্তু আডবাণী-ঘনিষ্ঠ নেতাদের বক্তব্য, এটি একান্তই পারিবারিক ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছিল। কাউকেই সে ভাবে লিখিত আমন্ত্রণ করা হয়নি।
যদি তা-ই হয়, কেজরীবাল এলেন না কেন? আপ সূত্রের মতে, এখনই বিজেপির ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিতে চাইছেন না কেজরীবাল। তার মানে এমন নয়, বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন না। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের এক অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শপথ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও রেস কোর্স রোডে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। আডবাণীর সঙ্গেও অতীতে দেখা করেছেন। কিন্তু আডবাণীর বাড়ির অনুষ্ঠানটি ছিল বিজেপির ঘরোয়া ব্যাপার। সেখানে বিজেপি নেতাদেরই ভিড় ছিল বেশি। আপ সূত্রের মতে, তার মধ্যে কেজরীবাল গিয়ে হাজির হলে দলছুট হয়ে যেতেন। আজ থেকে দিল্লি বিধানসভার অধিবেশনও শুরু হয়েছে। এখনও ঘর গোছাতে সময় লাগবে। কাল তিনি অণ্ণা হজারের আন্দোলনেও সামিল হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ঘনিষ্ঠতা এড়ানোই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy