—প্রতীকী ছবি।
সংখ্যাতত্ত্ব একটি জনপ্রিয় শাস্ত্র। বর্তমানে সংখ্যাতত্ত্বের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে তো অবশ্যই, ভারতবর্ষ ছাড়াও পৃথিবীর সব জায়গাতেই সংখ্যাতত্ত্বের কমবেশি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও সংখ্যাতত্ত্বের চর্চা নতুন নয়, এই চর্চা খুবই প্রাচীন। সংখ্যাতত্ত্বের ইতিহাস ঘাটলে প্রাচীন কালেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই শাস্ত্র চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে এই বিষয়ের চর্চা মুষ্টিমেয় সংখ্যকের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং দেশের পার্থক্যে কিছু মিল এবং অমিলও ছিল।
সংখ্যাতত্ত্বের মূল বিষয় বিভিন্ন সংখ্যার পাঠোদ্ধার। সংখ্যাতত্ত্বে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যার গুরুত্ব সবথেকে বেশি। সংখ্যাতত্ত্বে ১ – ৯ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীও করা হয়। ১ – ৯ প্রত্যেক সংখ্যা এক এক গ্রহকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী প্রত্যেক ছেলেমেয়ের নাম থেকেই তাঁদের ভাগ্যসংখ্যা, অর্থাৎ ‘ডেস্টিনি নাম্বার’ নির্ণয় করা যায়। আবার সেই ভাগ্যসংখ্যা ওই ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের নির্দেশ করে।
ভাগ্যসংখ্যা বা ‘ডেস্টিনি নাম্বার’ পাঠোদ্ধারের নিয়ম:
ইংরেজির A – Z, প্রত্যেকের নির্দিষ্ট সংখ্যা আছে (A =1, B=2, I= 9, J =1, K =2, S =1, T=2 ইত্যাদি)। এক জনের নামের বানান সংখ্যায় পরিবর্তন করে ওই সংখ্যার যোগফলই হল সেই ব্যক্তির ভাগ্যসংখ্যা বা ‘ডেস্টিনি নাম্বার’। নামের বানানের যোগফল যা বেরোবে তাকে ১-৯ এর মধ্যে এক অঙ্কে রূপান্তরিত করতে হবে। অর্থাৎ, যোগফল ১১ হলে ১ + ১=২, ৯৯ হলে ৯+৯ =১৮ তার পর আবার ১+৮=৯ হবে আপনার ভাগ্যসংখ্যা।
কোন সংখ্যার ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন:
১ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনচেতা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকৃতির হয়। নেতৃত্ব দেওয়ার এবং দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা এদের জন্মগতভাবে রয়েছে।
২ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিনয় করার ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা, বন্ধুবান্ধব এবং মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষমতা জন্মগত ভাবে রয়েছে।
৩ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সৃজনশীল হন। জনসংযোগ, অভিব্যক্তি এবং সুপরিকল্পনা দানের ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন।
৪ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্থিতিশীল প্রকৃতির। ব্যবহারিক জ্ঞান, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্মক্ষমতা এদের জন্মগত।
৫ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অস্থির প্রকৃতির হয়ে থাকেন। কর্মোদ্যমী, নতুন কিছু করতে পছন্দ করেন। নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার ইচ্ছা নিয়েই এরা জন্মায়।
৬ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভালবাসতে ভালবাসেন। সমবেদনা এবং দায়িত্বজ্ঞান এদের জন্মগত।
৭ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অন্তদর্শন ক্ষমতা সম্পন্ন হন। আত্মজ্ঞান এবং গভীর চিন্তা করার ক্ষমতা এদের জন্মগত।
৮ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পার্থিব বস্তুর প্রতি আকাঙ্ক্ষা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণে পারদর্শী হন।
৯ ভাগ্যসংখ্যা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পরোপকারী হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy