যে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট, অট্টালিকা অথবা কলকারখানা সম্পূর্ণরূপে বাস্তুনীতি অনুসরণ করে তৈরি করা অত্যন্ত শক্ত। নির্মাণ কার্যের একেবারে গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত যদি অত্যন্ত সতর্ক হয়ে বাস্তুনীতি মেনে চলা যায়, তা হলেই তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তুসন্মত বাড়ি হয়ে উঠতে পারে। বাস্তু মেনে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি না করা হলে তাতে বাস্তুদোষ থেকে যায়। বাস্তুদোষ হলেও অযথা ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাস্তুশাস্ত্রবিদরা সেই সব দোষ কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থাও উল্লেখ করেছেন।
বিভিন্ন ধরনের জমি-বাড়ির বাস্তু অনুযায়ী সংশোধন :—
বাস্তুতে সিঁড়ির অবস্থান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাস্তু অনুযায়ী সিঁড়ি পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিকে উঠবে। যদি পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমদিকে সিঁড়ি ওঠানো না যায়, তহলে অন্ততপক্ষে যেন উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে উঠে যায়। কোনও অবস্থাতেই উত্তর-পূর্ব দিকে সিঁড়ি তৈরি করা না হয়। কারণ জমির এই দিকটা অত্যন্ত হালকা ধরনের। সিঁড়ি ঘুরে ওপরের দিকে যাবে ঘড়ির কাঁটার চলনগতি অনুযায়ী অর্থাৎ ক্লকওয়াইস। অ্যান্টি ক্লকওয়াইস সিঁড়ি অত্যন্ত অশুভ। এইরূপ সিঁড়ি ভেঙে ফেলে নতুনভাবে ক্লকওয়াইস চলনে নবনির্মাণ করা উচিত।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই। কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বকর্মা বলেছেন, এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy