এক মাসে ১৮ কেজি! এত কম সময়ে এতটা ওজন ঝরানো সম্ভব? গায়ক, র্যাপার হনী সিং বাস্তবে তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।
সারা দিন প্রায় উপোস করে থাকলে, কঠিন নিয়মে শরীরচর্চা করলে হয়তো এমন লক্ষ্যে পৌঁছোনো যায়। তবে তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। এই পন্থা দীর্ঘ দিন মেনে চলাও কঠিন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধরনের ক্রাশ ডায়েটে খুব তাড়াতাড়ি ফল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু নিয়মে আলগা দিলেই দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হনী জানিয়েছেন, তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক অরুণ কুমার এই লক্ষ্যপূরণে তাঁকে বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছেন। তার সঙ্গে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ এক ধরনের পানীয় এবং ডায়েটের উপর ভরসা করে এই অসাধ্যসাধন করেছেন র্যাপার।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে তৈরি করবেন বিশেষ ওই পানীয়?
একটি বিট, একটি আমলকি, অর্ধেক শসা, অর্ধেক গাজর এবং এক মুঠো ধনেপাতা। ব্যস, এই কয়েকটি জিনিস ভাল করে ধুয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। ভাল করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন। সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন।
ওজন ঝরাতে কোন উপাদানের ভূমিকা কেমন?
- বিটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সহজে মাত্রা বাড়তে দেয় না। তা ছাড়া রক্ত সঞ্চালনেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে, যা ওজন ঝরানোর পন্থী।
- শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে এবং একই সঙ্গে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে শসা।
- সাধারণত চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতে গাজর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই সব্জিটি পরিপাকতন্ত্রের জন্যও ভাল।
- বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে ধনেপাতা। পাশাপাশি শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করে দিতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
এক মাসে ১৮ কেজি ওজন ঝরাতে কেমন ডায়েট মেনে চলেছেন হনী?
টানা এক মাস ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওই সবুজ পানীয়ে চুমুক দিয়েছেন হনী। তার পর দুপুরে সেদ্ধ মুরগির মাংসের সঙ্গে অল্প ভাতও থাকত ডায়েটে। বাইরের মুখরোচক খাবার একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপানেও ইতি টেনেছিলেন। তার বদলে বিকেলে জলখাবারে খেতেন সব্জি বা মুরগির স্যুপ। স্যালাড এবং আরও এক বাটি স্যুপ খেয়েই রাতের খাওয়া সারতেন এই র্যাপার।