বলিউডের ‘ফিটেস্ট’ নায়কদের তালিকায় অভিনেতা জন আব্রাহামের নাম বেশ উঁচুর দিকে। অভিনয়ের পাশাপাশি শরীরচর্চার জন্য অনুরাগীমহলে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে জনের। বছরের পর বছর ধরে সেই ‘মন্দির’ গড়েছেন জন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিগত ৩৫ বছর ধরে একটি দিনও তিনি বিরতি নেননি। এমনকি মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাতর হয়েও শরীরচর্চা করে গিয়েছেন। জন ঈশ্বরে বিশ্বাসী নন। অভিনেতা বলেন, “শরীর যদি মন্দির হয়, তা হলে অবশ্যই তার যত্ন নেওয়া উচিত। নিজের যত্ন নেওয়ার চেয়ে বড় ধর্ম আর নেই।”
বহু অভিনেতাই আছেন, যাঁরা ছবিতে কাজ করার কথা পাকা হওয়ার পর থেকে মন দিয়ে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। জন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সব সময়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখেন তিনি। এমনকি শুটিংয়ের সময়েও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে, তাঁর অনুমতি নিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেন কসরত করার জন্য। তবে তা ‘নার্সিসিজ়ম’ বা আত্মপ্রেম থেকে নয়। নিজের যত্ন নেওয়া আবশ্যিক বলে।
দীর্ঘ দিন ধরেই মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে জনের। কাজের চাপ, চড়া আলো, উদ্বেগ, আবহাওয়ার হেরফেরে এই ধরনের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কষ্টের সঙ্গে যুঝতে অনেকেই ঘরের আলো নিবিয়ে রাখেন, ঘন ঘন চা-কফিতে চুমুক দেন। যন্ত্রণার তীব্রতা সামাল দিতে না পারলে বিছানায় শুয়েই দিন কাটাতে হয়। তবে জন সে সবের ঊর্ধ্বে। তিনি বলেন, “মাইগ্রেন হলে খুব ভারী ওজন তুলি না। শরীরকে বেশি কষ্ট দিই না। কিন্তু জিমে যাই। শরীর যতটুকু সহ্য করতে পারবে, ততটুকুই কসরত করি। এই বিষয়টা নিজেকে বুঝতে হবে। তা হলে আর কোনও সমস্যা হবে না।”
আরও পড়ুন:
তবে জনের কথা শুনে অনুপ্রাণিত না হওয়াই ভাল। সকলে মাইগ্রেন নিয়ে জিম করতে পারবেন না। কারণ, প্রত্যেকের শরীর গঠনগত ভাবে আলাদা। চাপ নেওয়ার ক্ষমতাও এক নয়। তাই চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।