উচ্চ মাধ্যমিক শেষ। ফল বেরোনোর মাঝে বেশ লম্বা ছুটি। কিংবা সদ্য কলেজ যেতে শুরু করেছেন। নিজেকে নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে সব দিকেই। কী করবেন, কী পরবেন, কী নিয়ে পড়াশোনা করবেন সে সব ভেবেই দিনের অর্ধেকটা সময় কেটে যায় সিংহভাগের। ফলাফলের কথা না ভেবেই নায়ক-নায়িকাদের মতো চেহারা পাওয়ার লক্ষ্যে জিমে যেতে শুরু করেন অনেকে। কেউ কেউ জিমের পরিবেশ, শারীরিক কসরতের ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। কেউ পারেন না, ঠেকে শেখেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হা এক সাক্ষাৎকারে তেমনই একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
‘‘আঠারো বছর বয়সেই অহরহ / বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি’’— সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার পঙ্ক্তিটি বেশ প্রযোজ্য এ ক্ষেত্রে। এই ১৮ বছর বয়সেই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অভিনেত্রী প্রথম জিম করতে শুরু করেছিলেন। ভয়কে জয় করে, সকলের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ট্রেডমিলে দৌড়োতে গিয়ে বুঝতে পারেন, এ জিনিস তাঁর আয়ত্তের বাইরে। সোনাক্ষীর কথায়, “আমার অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই প্রায় জিভ বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তখন আমি বুঝেছিলাম, এত অল্প বয়সে জিম করা আমার শরীরের পক্ষে উপযুক্ত নয়। সেখান থেকেই আমার ফিটনেস রুটিনের যাত্রা শুরু।”
নায়ক-নায়িকাসুলভ চেহারা রাতারাতি পাওয়া সম্ভব নয়। আবার, তেমন চেহারা পেতে গেলে যে ধরনের কায়িক পরিশ্রম করতে হয়, তা সকলের পক্ষে উপযুক্ত নয়। ছিপছিপে গড়ন পাওয়ার আশায় খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিলে আবার অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগতে হতে পারে। প্রত্যেকের শরীরের গঠন আলাদা। পরিশ্রম করার ক্ষমতাও সকলের এক রকম নয়। তা হলে শরীরচর্চার ক্ষেত্রই বা আলাদা হবে না কেন?
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা অবশ্য বলছেন, শরীরচর্চা শুরু করার আগে অবশ্যই প্রত্যেকের ফিটনেস লেভেল বা পরিশ্রম করার ক্ষমতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। শরীরে কোথায় কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, কোন অংশের মেদ ঝরাতে চান ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া উচিত প্রশিক্ষকের সঙ্গেও। রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারলেও ভাল হয়।