‘অ্যাম জোকিং’!
মজা করতে করতে ৬২টি বসন্ত পার করে ফেললেন অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দিনের শুরুতে দু’কোয়া রসুন খেয়েই তিনি নীরোগ রয়েছেন। প্রতি দিন দু’কোয়া রসুন না খেলে তাঁর দিনটা যেন শুরু হতে চায় না। বিদেশে গেলে অবশ্য সে নিয়মে ছেদ পড়া স্বাভাবিক। চাঙ্কি বলেন, “দেশের বাইরে কোথাও গেলে সেখানেও রসুনের খোঁজ করি। সব জায়গায় তো রসুন পাওয়া যায় না। তখন আমার অস্থির লাগে। আমি ওই দু’কোয়ার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।”
রোজ দু’কোয়া রসুন শরীরের কোন উপকারে লাগবে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্ত পরিস্রুত করতে এবং হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে রসুন। পুষ্টিবিদ অঞ্জলি তিওয়ারির মতও তা-ই। তিনি বলেন, “রসুনে অ্যালিসিন এবং সালফার তো রয়েছেই। এ ছাড়া রসুনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণও বেশি, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়তে দেয় না। ধমনীর দেওয়ালে চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে রক্ত চলাচলের গতিপথ সরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।”
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া রসুনে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতেও সাহায্য করে। সংক্রমণজনিত রোগবালাই দূরে রাখতেও রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় থাকে রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে। ক্যানসার কিংবা নিউরোডিজেনারেটিভ নানা রোগ প্রতিরোধক হিসাবেও কাজ করে রসুন। আবার, শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ বার করার প্রক্রিয়ায় সালফারের ভূমিকা রয়েছে। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদানটি প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ হিসাবে আয়ুর্বেদে রসুনের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
তবে অঞ্জলির কথায়, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া ভাল নয়। তাতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিন্যাল অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। মুখে দুর্গন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যাঁদের নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেতে হয়, তাঁরা রসুন খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
(এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ভিটামিন খেলে তা শরীর বুঝে পরিমিত মাত্রাতেই খেতে হবে। কাজেই দিনে কতটা জরুরি, তা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল)