অনেক সময় দেখা যায়, ঘুম থেকে ওঠার পর খুব ক্লান্ত লাগছে। প্রতীকী ছবি।
ঘুম থেকে উঠে আলস্য যেন কাটতেই যায় না। ঘুম ভেঙে গেলেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা যেন ঘিরে থাকে। একটা ঝিমুনি ভাব, গা ম্যাজম্যাজ— যত ক্ষণ না চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন, আলসেমি যেন যেতে চায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ঘুম থেকে ওঠার পর খুব ক্লান্ত লাগছে। স্নান সেরে অফিস যাওয়ার তাড়া রয়েছে, অথচ তা-ও যেন চলছে না শরীর। বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না। রাতভর ঘুমিয়েও কেন এমন হচ্ছে? কী কারণ থাকতে পারে এর নেপথ্যে?
দেরি করে ঘুমোতে যাচ্ছেন
রাতে কখন ঘুমোচ্ছেন? সেই সময়টা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়েন। কিন্তু ঘুমোন না। রাত জেগে গল্পের বই পড়া, সিরিজ দেখার নেশার রয়েছে অনেকেরই। এগুলি করতে গিয়ে কখন যে রাত গড়িয়ে যায়, খেয়াল থাকে না। অনেক রাতে দু’চোখের পাতা এক করার ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠলে এমন ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। ঘুমের ঘাটতির কারণেই এমন হয় মূলত।
ঘুম থেকে ওঠার ১৫ মিনিট আগে অ্যালার্ম দিন
ঘুম থেকে ওঠার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে থেকে অ্যালার্ম দিয়ে রাখার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর অ্যালার্ম দিয়ে না রাখলে অনেকেরই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম ভাঙতে চায় না। চিকিৎসকরা বলছেম, ঘুম থেকে ওঠার এই পদ্ধতি নিঃসন্দেহে স্মার্ট। কিন্তু এতে মস্তিষ্কের উপরে বার বার চাপ পড়ে। গভীর ঘুম বার বার ভেঙে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই যখন ঘুম থেকে উঠতে চাইছেন, তার মিনিট পনেরো আগে অ্যালার্ম দিন।
পাশে যদি কেউ নাক ডাকে
আপনার পাশে যিনি ঘুমিয়েছিলেন, তাঁর যদি নাক ডাকার অভ্যাস থাকে সে ক্ষেত্রেও কিন্ত এমন হতে পারে। নাক ডাকার শব্দে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া অসম্ভব নয়। ঘুমের মাঝে এই ব্যাঘাত একটা ঘাটতি তৈরি করতে পারে। ফলে সকালে ঘুম ভাঙলে এমন গা ম্যাজম্যাজ করে, ক্লান্তি আসে।
শোয়ার আগে অ্যালকোহল বা কফি খেলে
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই দু'টি পানীয় খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়। কফি এবং অ্যালকোহল-- দু’টোই রাতে খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। মদ্যপান করলে ঘুমের একটা অনুভূতি হয় ঠিকই, এটি আসলে গভীর ঘুমের স্তর থেকে দূরে রাখে। কফিতে থাকা ক্যাফিনও একই কাজ করে। মস্তিষ্কের উদ্দীপনা বাড়িয়ে সক্রিয় করে রাখে বলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি কাটতেই চায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy