— প্রতীকী চিত্র।
ছোট থেকে দেখে এসেছেন, বাড়িতে শসা দিয়ে টক দই খাওয়া হয়। কিন্তু বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতে এসে হঠাৎ জানতে পেরেছেন ইয়োগার্টের কথা। বেশি উপকার হবে ভেবে খেতেও শুরু করেছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না, দইয়ের চেয়ে খেতে ঢের ভাল খেতে ইয়োগার্ট আদৌ শরীরের জন্য ভাল কি না। অনেকটা দইয়ের মতো খেতে, তৈরির পদ্ধতিও অনেকটা একই রকম, তা সত্ত্বেও ইয়োগার্ট আলাদা কেন?
প্রোটিন, ক্যালশিয়াম এবং প্রোবায়োটিক খাবারের প্রধান উৎস হল দই এবং ইয়োগার্ট। তবে দুধ থেকে দই বা ইয়োগার্ট তৈরি পদ্ধতি এই দুই খাবারকে পুষ্টিগুণের দিক থেকে আলাদা করেছে। দুধ সহ্য করতে পারেন না, এমন অনেককেই পুষ্টিবিদেরা দই খেতে বলেন। তা খেয়েও অনেকের পেটের সমস্যা হয়। কিন্তু ইয়োগার্ট খেলে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ, এই খাবারে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ দইয়ের চেয়ে বেশি। অন্ত্র্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত ইয়োগার্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
দই এবং ইয়োগার্ট— দু'টি খাবারই দুগ্ধজাত। কিন্তু দু'টি খাবার তৈরির পদ্ধতি আলাদা। দুধ থেকে দই তৈরি করতে কোনও কৃত্রিম পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয় না। দুধের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়াই দই জমাতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, ইয়োগার্ট তৈরি করতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগ্যারিকাস এবং স্ট্রেপটোকক্কাস থার্মোফিলাস ব্যাক্টেরিয়ার স্ট্রেইন প্রবেশ করানো হয়। যে কারণে ইয়োগার্টের স্বাদ স্বাভাবিক ভাবেই একটু টক হয়। দইয়ের চেয়ে ইয়োগার্টের টেক্সচারও আলাদা হয়। দইয়ের মধ্যে জলের ভাগ বেশি থাকে। মসৃণ হলেও মুখে দিলে বোঝা যায়, দইয়ের চেয়ে ইয়োগার্টের ঘনত্ব আলাদা। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, পদ্ধতিতে তৈরি হয় বলে ইয়োগার্টের স্বাদ হয় অনেকটা কাস্টার্ডের মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy