হরমোন জনিত যে কোনও রোগ সামাল দিতে গেলে প্রাথমিক ভাবে জীবনযাপনের দিকে নজর দিতে হয়। কে কী ভাবে নিজের জীবন চালনা করছেন, কখন কী খাচ্ছেন, মূলত তার উপরেই হরমোনের ওঠাপড়া অনেকটা নির্ভর করে। ডায়াবিটিস, হাইপো বা হাইপার থাইরয়েডের মতো ‘পিসিওস’, অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমও হরমোন ঘটিত রোগ।
অভিনেতা অর্জুন কপূরের বোন অংশুলা কপূর দীর্ঘ দিন ধরে ‘পিসিওএস’-এর সমস্যায় ভুগছিলেন। যে কারণে বয়ঃসন্ধিতে তাঁর মুখে অবাঞ্ছিত রোমের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল, বেড়েছিল ওজনও। এমনকি, ঋতুস্রাব চলাকালীনও তাঁকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে নিজের চেষ্টায় এবং চিকিৎসক-পুষ্টিবিদদের সহায়তায় সেই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন অংশুলা।
আরও পড়ুন:
খেতে ভালবাসেন অংশুলা। যাঁরা খেতে ভালবাসেন, তাঁদের কাছে সবচেয়ে কঠিন কাজ হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। অথচ ‘পিসিওএস’ থেকে মুক্তি পেতে গেলে ওজন ঝরাতেই হবে। সুতরাং, অংশুলাকে কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল, তা আন্দাজ করাই যায়। পছন্দের খাবার বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ার বিড়ম্বনা কম নয়। অংশুলা বলেন, “পুষ্টিবিদের পরামর্শমতো পছন্দের প্রায় সব খাবারই বাদ দিতে হয়েছিল। সেই কারণে আরও বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। খাবার নিয়ে আমি বহু পরীক্ষানিরীক্ষা করেছি। শেষমেশ আমি এমন কয়েকটি খাবারের সন্ধান পেয়েছি, যেগুলি একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক।”
আরও পড়ুন:
অংশুলার পছন্দের ‘পিসিওএস ফ্রেন্ডলি’ খাবার কোনগুলি?
১) চিপ্সের বদলে মাখানা:
চিপ্স খেতে কে না ভালবাসেন? অংশুলাও ব্যতিক্রম নন। তবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো চিপ্স ডায়েট থেকে বাদ পড়ার পর তিনি মখানা খেতে শুরু করেন। সামান্য তেল বা ঘিয়ে মখানা রোস্ট করে উপর থেকে চাটমশলা ছড়িয়ে নিলে খেতে দিব্যি লাগে।
২) দইয়ের বদলে ইয়োগার্ট:
প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে প্রাণিজ খাবারের উপর বেশি নির্ভর না করে অংশুলা নিয়মিত গ্রিক ইয়োগার্ট খেতেন। অনেকেই হয়তো বলবেন, টক দই খাওয়ার কথা। তবে দইয়ের চেয়ে ইয়োগার্টের পুষ্টিগুণ বেশি।
৩) গমের বদলে জোয়ার, বাজরার রুটি:
ময়দায় ক্যালোরি, ট্রান্সফ্যাট বেশি। এ ছাড়া গমজাত খাবারে গ্লুটেনও থাকে। অংশুলার পরামর্শ হল গমের বদলে জোয়ার, বাজরার আটা ব্যবহার করা। জলখাবারে পাউরুটির বদলের সোরঘাম বা অমরন্থের ব্রেড খাওয়া যেতে পারে।