স্তন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী হিনা খান। যে ভাবে ক্যানসার ধরা পড়ার পরে তিনি ভেঙে না পড়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, তা দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। যদিও হিনা জানিয়েছেন, ক্যানসারের সঙ্গে তাঁর লড়াই শেষ হয়নি এখনও। ক্যানসারকে দূরে রাখতে নতুন এক চিকিৎসাপদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর।
স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়েছিল হিনার। তার পরে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়। কেমোথেরাপিও চলছিল। কেমো চলাকালীন নানা শারীরিক সমস্যা এবং যন্ত্রণার বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন হিনা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হিনা জানিয়েছেন, সেই কেমোথেরাপি শেষ হয়েছে তাঁর। তবে ক্যানসারের চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। কেমোথেরাপি শেষে তিনি ইমিউনোথেরাপি করাচ্ছেন এখন।
ক্যানসারের চিকিৎসায় শুধু অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপিই যে শেষ কথা নয়, তা বার বার বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা বলেন, ওই দুই চিকিৎসার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘ফলো আপ’, অর্থাৎ নিয়মিত শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা। চিকিৎসককে দেখানো। পরীক্ষা করানো। এ ছাড়াও ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসায় ‘পোস্ট ক্যানসার কেয়ার’ বা ক্যানসার-পরবর্তী যত্নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে শরীরে ক্যানসার ফিরতে চাইলে শরীর তার সঙ্গে লড়াই করতে পারে, সে জন্য শরীরকে তৈরি রাখাও জরুরি। সেই ক্ষমতাই যোগায় ইমিউনোথেরাপি।
আরও পড়ুন:
ইমিউনোথেরাপি কী?
ইমিউনোথেরাপি হল শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতি শরীরকে ভবিষ্যতে ক্যানসারযুক্ত কোষের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রাখে। ক্যানসারের চিকিৎসক শ্রীনাথ ডি বলছেন, ‘‘কেমোথেরাপি যেমন ক্যানসারের সম্ভাবনাযুক্ত কোষের পাশাপাশি সুস্থ কোষকেও আক্রমণ করে, ইমিউনোথেরাপি তা করে না। বদলে রোগপ্রতিরোধ শক্তিকেই এতটা বাড়িয়ে দেয় যে সেটি ক্যানাসারের সম্ভাবনাময় কোষগুলিকে চিনে শুধু সেগুলিকে আক্রমণ করতে পারে।"
কারা নিতে পারেন ইমিউনোথেরাপি?
যাঁদের ক্যানসার রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই ইমিউনোথেরাপি নিতে পারবেন, তা নয়। কী ধরনের ক্যানসার এবং তা শরীরে কত দূর ছড়িয়েছে, তার উপর নির্ভর করবে পুরোটা। স্তন ক্যানসার, সার্ভিকাল, কলোরেক্টাল, ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে, তা দেখে ইমিউনোথেরাপি করানো যেতে পারে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক।।
ইমিউনোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি?
কেমোথেরাপির যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, ইমিউনোথেরাপিতেও তেমন আছে। তফাত এটুকুই যে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি রোগ প্রতিরোধক শক্তি সংক্রান্ত। ত্বকে র্যাশ, পেটের অসুখ, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি হতে পরে।