ছবি: সংগৃহীত
দেশে এবং রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটাও বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। তবে এই অন্ধকারে আশার আলো এই যে সাম্প্রতিক করোনা-স্ফীতিতে হাসাপাতালগামী রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে মৃদু উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশই রয়েছেন নিভৃতবাসে। জ্বর-সর্দি-কাশি ইত্যাদি উপসর্গগুলি আক্রান্ত হওয়ার ৩-৪ দিনের মাথায় চলে গেলেও থেকে যাচ্ছে একরাশ ক্লান্তি। কোভিডে আক্রান্ত থাকাকালীন চিকিৎসকরা বারেবারেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অনেক রোগীই আছেন গলা ব্যথার কারণে ঠিক মতো খাবার খেতে পারছেন না। তাঁরা এই সময় কী তরল খাবারেই ভরসা রাখবেন? কিংবা কো-মর্বিডিটি আছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কোভিড আক্রান্ত থাকাকালীন কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত? আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন পুষ্টিবিদ ও যাপন-সহায়ক অনন্যা ভৌমিক।
অনন্যা বললেন, ‘‘গলা ব্যথা থাকলে শীতকালীন রঙিন সব্জি দিয়ে একেবারে তরল ও গলা গলা খিচুড়ি বানিয়ে নিতে পারেন। নানা ধরনের স্যুপ খেতে পারেন। গলা ভাত বা ঝোল ঝোল ন্যুডলসও খেতে পারেন। সারা দিনে বার কয়েক চা খেলে আরাম পেতে পারেন গলায়।’’
ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হলে কী ধরনের খাদ্যাভ্যাস মেনে চলবেন?
অনন্যার উত্তর, ষাটোর্ধ্ব যে সব ব্যক্তির ডায়াবিটিস, উচ্চ-রক্তচাপ ইত্যাদি কো-মর্বিডিটি আছে তাঁরা সেগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে রকম নিয়ম মানতেন সেগুলিই মেনে চলুন। তবে করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন সকালে উঠে চায়ের সঙ্গে মুড়ি বা ডায়েট চিড়ে খেতে পারেন। প্রাতরাশে খেতে পারেন ডালিয়ার খিচুড়ি বা ওটস। খানিক বেলা বাড়লে একটা বা দুটো মরসুমি ফল খেতে পারেন। দুপুরবেলা ভাত, ডাল বা শাক-সব্জি দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খেতে পারেন। বিকালে এক গ্লাস দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। হলুদ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। রাতের খাবারে আবার দুপুরে যা খেয়েছেন সেগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy