শুধু শরীর ভাল রাখার জন্য নয়, রূপ ধরে রাখতেও সারা বিশ্ব এখন শাকসব্জি খাওয়ার দিকে জোর দিচ্ছে।
রূপচর্চা নিয়ে কথা উঠলেই একটি দাবি প্রায় সকলের মধ্যে দেখা যায়। ত্বক হতে হবে সমৃণ এবং উজ্জ্বল। দূর থেকে দেখেই যেন বোঝা যাবে যে ত্বক খুব কোমল। প্রসাধনী বিক্রেতারা এ নিয়ে বিজ্ঞাপনও কম করেন না। রকমারি কৌটো আর সাজানো বোতলে ভরে নিত্য নতুন প্রসাধনী আসে বাজারে। কিন্তু ক’জনের সত্যি জেল্লাদার। মসৃণ ত্বক হয়? কিন্তু কারও কারও তো হয়! তাঁরা কি তবে দিনভর খালি রকমারি প্রসাধনী সরঞ্জাম ব্যবহার করেন?
তেমন কিন্তু নয়। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাদ্যাভ্যাস। খেয়াল করলে দেখা যাবে, যাঁদের ত্বক খুব উজ্জ্বল, তাঁদের অধিকাংশের জীবনধারা বেশ পরিমিত। খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বেশ সচেতন তাঁরা। কারণ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট না পেলে কখনও জেল্লাদার থাকে না ত্বক। আর সে সব আসে নানা ধরনের শাকসব্জি থেকে।
ত্বকের যত্নে কেন বেশি শাকসব্জির দিকে ঝুঁকছে গোটা বিশ্ব?
একটু খোঁজ নিলেই জানা যাবে, সারা বিশ্বেই এখন শাকসব্জি খাওয়ার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। শুধু শরীর ভাল রাখার জন্য নয়, রূপ ধরে রাখতেও। আসলে পেট কেমন থাকছে, তার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে রূপের। পেট ভাল থাকলে চুল, ত্বকের সমস্যা কম হয়। আর শাকসব্জি নিয়মিত খেলে সে দিকটা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে। তা ছাড়া, শাকসব্জিতে রয়েছে এমন কিছু খনিজ পদার্থ, যা বয়সজনিত সমস্যা দূরে রাখতে পারে। আর তাই ত্বকের উপর বয়সের ছাপও পড়ে দেরিতে।
কী কী পাওয়া যায় শাকসব্জিতে, যা ত্বকের যত্ন নেয়?
ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। তা থাকে বিভিন্ন সব্জিতেই। আর এই ভিটামিন বার্ধক্যের সমস্যা কমায়। ত্বক ও চুলে বয়সের প্রভাব পড়ে দেরিতে।
ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক, এই দু’টি উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে শাকসব্জিতে। তাতে চুল পড়া কমে। খুশকির সমস্যা কমে।
কিছু কিছু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। তার প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল হয়। চুলেরও জেল্লা বাড়ে।
নানা ধরনের শাকসব্জি মিশিয়ে খেলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় প্রোটিনও। যা কি না ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঘুম হলে ত্বকে নিজে থেকেই জেল্লা ফিরে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy