ফুসফুসের কোন সঙ্কেত বলে দেবে বিপদ বাড়ছে?
যে সব ক্যানসারের শঙ্কা ভারতে সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম ফুসফুসের ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্তন ক্যানসারের পরেই এর স্থান। সাধারণত অনেকেই মনে করেন, ধূমপায়ীরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ধারণাটি খুব ভুল না হলেও একপেশে তো বটেই। ধূমপান করলে এই ক্যানসারের শঙ্কা প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু ধূমপান না করলেও হতে পারে এই ক্যানসার।
এই রোগের মূলে যেহেতু নিকোটিন-সহ তামাকে থাকা অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান, তাই নিজে ধূমপান না করলেও চারপাশের ধূমপানের ধোঁয়া থেকেও দূরে থাকা আবশ্যিক। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধোঁয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। তাই তাদেরও পরোক্ষ ধূমপান থেকে দূরে রাখতে হবে। একটানে যতটা নিকোটিন পৌঁছয়, তা ফুসফুসের উপর বিষের আস্তরণ তৈরি করে। শরীর সেই সব টক্সিন দূর করতে পারে না। তাই পরোক্ষ ধূমপানও চলবে না কোনও ভাবেই।
চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসের ক্যানসারের প্রধান সমস্যা, এটি ধরা পড়ে খুব দেরিতে। এই রোগের কিছু প্রাথমিক উপসর্গ থাকে। জেনে নিন কোন লক্ষণগুলি অবহেলা করলেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়বে।
১) কাশি শুরু হয়েছে, কিছুতেই কমছে না, লাগাতার বেড়েই চলছে।
২) কাশির সঙ্গে সামান্য হলেও রক্ত উঠছে।
৩) বুকে ব্যথা, নাগাড়ে ব্যথা থেকে যেতে পারে। বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ।
৪) মাঝেমাঝেই ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কাইটিসের আশঙ্কা। সঙ্গে হালকা শ্বাসকষ্ট।
৫) মাথার যন্ত্রণা।
৬) কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। খিদে কমে যাওয়া। খাবার গিলে খেতে অসুবিধা হওয়া।
৭) গলা ধরে যাওয়া বা গলার স্বর বদলে যাওয়া।
৮) হাড়ে ব্যথা।
সাধারণত এই ধরনের উপসর্গ হলে (কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোনো ছাড়া) বেশির ভাগ মানুষই পাত্তা দেন না। যখনই দু’-একটি উপসর্গ দেখা যাবে এবং তিনি যদি ধূমপায়ী হন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে একটি চেস্ট এক্সরে করিয়ে নেওয়া উচিত। দরকার মতো সিটি স্ক্যান, এফএনএসি বা বায়োপ্সি করতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy