বি টাউনে তাঁর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা। করিনা কপূর তো বটেই, বলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁর পরামর্শ মেনে চলেন। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর বহু নামী ব্যক্তিত্বেরই ফিটনেস সংক্রান্ত পরামর্শদাতা। সেই তিনিই বলছেন কি না, যাঁরা ওজন বশে রাখার পরামর্শ নেন তাঁর কাছে, তাঁদেরকে কখনও ওজন মাপতে বলেননি! এমনকি তাঁর কাছে ওজন মাপার যন্ত্রই নেই!
বহু মানুষ যেখানে দিনরাত ওজন কমানো নিয়ে চর্চা করছেন, সেই লক্ষ্যেই ছুটছেন, সেখানে একজন নামজাদা পুষ্টিবিদ হয়ে এমন কথা কী ভাবে বলছেন তা নিয়ে কৌতূহল হতে পারে অনেকেরই। তবে রুজুতা মনে করেন, ওজন কমছে না, কেন কমছে না, এমন দুশ্চিন্তার চেয়ে সুস্থ এবং ভাল থাকার দিকে নজর দেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ নিয়ে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন। রুজুতার বক্তব্য, ‘‘যন্ত্রে ওজন কম দেখতে পাওয়াটাই যদি সুখ বলে মনে হয়, তা হলে চাঁদে গিয়ে ওজন করলেই হয়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ায় সেখানে যে কোনও মানুষের ওজন কম দেখাবে।’’
ওজন নিয়ে ভাবনাচিন্তার বদলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ ভাল থাকায় নজর দেওয়া। রুজুতা বলছেন, ‘‘তরুণ প্রজন্মের অনেকেই শরীরচর্চা করেন শুধু সুঠাম এবং পেশিবহুল দেহের জন্য। শরীরচর্চার পদ্ধতি, সেটা ঠিক হচ্ছে কি না, সে দিকে নজরও থাকে না তাঁদের।’’
বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূরের ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর। করিনা মাঝেমধ্যে সমাজমাধ্যমে তাঁর ডায়েট, শরীরচর্চার ছবি পোস্ট করেন। তাতেই দেখা গিয়েছে পরোটা, ঘি খাচ্ছেন তিনি। তা নিয়ে চর্চা কম হয়নি। কিন্তু রুজুতা বরাবরই ভারতীয় খাবার, পুষ্টিকর খাবারে জোর দিয়েছেন। মনের ইচ্ছা দমন করে দিনের পর দিন ওজন কমানোর লক্ষ্যে কড়া ডায়েটের পক্ষপাতীও তিনি নন।
রুজুতা বলছেন, ‘‘সুস্বাদু খাবার খাওয়াও তো জীবনের অঙ্গ। এর সঙ্গেও তো ভাললাগা জড়িয়ে থাকে। সেই সুখ থেকে বঞ্চিত হওয়া তো অর্থহীন।’’ বরং তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়াটাই লক্ষ্য হওয়া দরকার।