জলেই হবে শরীরচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু গরম নয়, তার সঙ্গে প্রবল আর্দ্রতায় গলদঘর্ম সকলেই। দিনভর যখন এমনিতেই ঘাম ঝরছে, তখন আর জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করে ঘাম ঝরানোর ইচ্ছে কি থাকে? একদিন না হয় বাদ গেল, তাই বলে প্রচণ্ড গরমে রোজ শরীরচর্চা বাদ গেলে কি আর ওজন বশে থাকবে?
তার চেয়ে বরং গরমের মরসুমে ব্যায়ামটা সেরে নিন সুইমিং পুলে। সাঁতার না জানলেও চলবে। বুকজলে বা কোমর সমান জলে দাঁড়িয়েও করে নেওয়া যাবে শারীরিক কসরত। গরমে মিলবে আরামও।
জলে ব্যায়ামের সুবিধা
গরমের দিনে জলের মধ্যে কিছু ক্ষণ কাটাতে সকলেরই ভালবাসেন। অনেকেরই সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার ভীতি থাকে। এই ধরনের ব্যায়াম কিন্তু কোমরজলেও সম্ভব। ফলে ডুবে যাওয়ার ভয়টা কাজ করে না। জলে নামা মানেই, জলের পাল্টা চাপে শরীর কিন্তু হালকা লাগে। যাঁদের হাঁটুতে ব্যথা, পেশি ও হাড়ের সন্ধিস্থলে সমস্যা রয়েছে, জলের মধ্যে ব্যায়াম তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধাজনক ও কার্যকরও হয়।
কী ভাবে জলের নীচে শরীরচর্চা
হাঁটা
কোমর জলে হাঁটুন। কিছু ক্ষণ সামনে। বেশ কিছু ক্ষণ পিছনে। জলের চাপের মধ্যে তাতে আগুপিছু বেশ কিছু ক্ষণ হাঁটলে শক্তিক্ষয় যেমন হবে, তেমনই পায়ের পেশি মজবুত হবে। জগিং চেষ্টা করুন জলে। এতেও সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম হবে।
সাইক্লিং
জলের নীচে সাইক্লিং করা খুব ভাল ব্যয়াম। জিমে যে শরীরচর্চা ম্যাটে শুয়ে পা উপরে তুলে করতে হত, এখানে সেটা উল্টো ভাবে করতে হবে। সাইকেলে যে ভাবে প্যাডেল করা হয়, সে ভাবেই জলের নীচে করার চেষ্টা করলেই ধীরে ধীরে শরীর ভেসে উঠবে। এ ভাবে সামনে ২০ বার, পিছনে ২০ বার সাইক্লিং করতে হবে।
জাম্পিং জ্যাকস
কোমরজলে দাঁড়িয়েই করা যাবে ব্যায়ামটি। দুই পা জোড়া করে দাঁড়িয়ে লাফ দিয়ে পা ফাঁক করতে হবে। পা যখন ফাঁক হবে, হাত দু’টিও উপরে উঠে আসবে। এই ভাবে প্রতি বার লাফানোর সঙ্গে দুই পা ফাঁক হবে ও দুই হাত উপরে উঠবে। একই ব্যায়াম করতে এমনিতে যতটা শক্তিক্ষয় হত, জলে শরীরচর্চায় বেশি উপকার মিলবে।
জলের মধ্যে এই ধরনের একাধিক শরীরচর্চা শুধু দ্রুত শক্তিক্ষয় করে ওজন কমাতে সাহায্য করে না, শরীরকে সুস্থও রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy