গ্যাস হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই নিজেকে পছন্দের মুখরোচক খাবার থেকে দূরে রাখেন। প্রতীকী ছবি।
ছুটির সকালে গরম গরম ফুলকো লুচির সঙ্গে সাদা আলুর তরকারি— মন ভাল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু লুচি খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরটা কেমন টক টক হয়ে গেল। সেই সঙ্গে শুরু বুক জ্বালা। রোজের জীবনে এমন শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন কমবেশি সকলেই। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, জল না খাওয়া, অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবারের প্রতি ঝোঁক গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপার মতো শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। খাওয়াদাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠা এই ধরনের লক্ষণের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। গ্যাস হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই নিজেকে পছন্দের মুখরোচক খাবার থেকে দূরে রাখেন। চটজলদি সুস্থ হতেই অনেকে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে তৎক্ষণাৎ সমস্যা কমিয়ে দিলেও পরবর্তীতে শরীরের অন্দরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ বেশি না খাওয়াই ভাল। তার চেয়ে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হওয়ারও কিন্তু উপায় রয়েছে। জানেন সেগুলি কী কী?
হাঁটাহাঁটি
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে রোজের জীবনে শরীরচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। রোজ কিছু ক্ষণের জন্য হলেও ব্যায়াম করুন। এতে হজম ভাল করে হবে। আর হজম ভাল হলে গ্যাসের সমস্যাও অনেকটা কমবে। খাবার খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। দশ পা সজোরে হেঁটে তিন বার পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরুন। তিন-চার বার এই ভাবে হাঁটাহাঁটি করলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে যাবে।
মানসিক উদ্বেগ থেকে দূরে থাকুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক চাপে থাকেন অনেকেই। এই মানসিক উদ্বেগ কিন্তু পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ এবং অস্থিরতা পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। উদ্বেগের কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অনেক সময় বিঘ্নিত হয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। শরীরের খেয়াল রাখুন।
হলুদ
পেট সংক্রান্ত হাজার সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে হলুদে। প্রদাহনাশক হিসাবে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকে কারকিউমিন উপাদান শরীরের অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান করে। প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এক কাপ দুধে এক চা চামচ নারকেলের শাঁস, হলুদ ও এক চা চামচ আদা একসঙ্গে নিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার পর মিশ্রণটি গরম করে খেতে পারেন। তবে রোজ এই পানীয় না খাওয়াই ভাল। পেট গরম হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy