Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Side-effects of Coffee

কফিতে চুমুক না দিলে ঘুম ভাঙে না? কফি খাওয়ার আগে কোন ৩ বিষয় খেয়াল না রাখলে বিপদ?

কফির প্রধান উপাদান হল ক্যাফিন। কফির উপকারিতা পেতে, সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতেই পারেন। তবে মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম।

বেশি কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে।

বেশি কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩১
Share: Save:

উৎসবের দিন হোক বা না হোক— সকালে উঠে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুমের রেশ যেন কাটতে চায় না। সেই কফি খাওয়ার শুরু। সারা দিনে কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করতে কফি না খেলে চাঙ্গা ভাবটা যেন আসে না। কফিপ্রেমী হলে তো দিনে কত কাপ কফি খেয়ে ফেলেন তার ইয়ত্তা থাকে না। কফি যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন মোটেই বলা যাবে না। মানসিক চাপ দূরে রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত— কফির গুণ নিয়ে বলা বাহুল্য। তবে মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ।

চিকিৎসকদের মতে, যত ইচ্ছা কফি খাওয়া যায় না। কফির প্রধান উপাদান হল ক্যাফিন। কফির উপকারিতা পেতে, সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কফি খেতেই পারেন। এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। কফি খাওয়ার সময়ে এই পরিমাণটা ভুলে গেলে চলবে না। এক কাপে কতটা কফি দিচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে দিনে ৪-৫ কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভাল।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফি খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

১) বেশি কফি খেলে তার প্রতি আসক্তি তৈরি হতে থাকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কফি না পেলে মেজাজ খারাপ হতে থাকে। মানসিক অবসাদ আসতে পারে।

২) ক্যাফিন প্রভাব ফেলে হৃদ্‌যন্ত্রেও। এর প্রভাবে হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যায়। এমনকি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

৩) প্রচুর পরিমাণে যাঁরা কফি খান, তাঁদের অনেকের ঘুম কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কাজও ব্যাহত হয়। ঘুমের ঘাটতি অন্যান্য আরও অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। তাই সুস্থ থাকতে কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে।

এক কাপ কফিতে প্রায় ৭০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। ছবি: সংগৃহীত

কফি খাওয়ার সময়ে কোন ৩ নিয়ম মেনে চললে ক্ষতি হবে না শরীরের?

খালি পেটে কফি নয়: কফি খেলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। খালি পেটে কফি খেলে পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে ক্ষতি হতে পারে গোটা খাদ্যনালীরই। দেখা দিতে পারে ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ ও বুক জ্বালার মতো সমস্যা।

কফিতে ভাল ফ্যাট মিশিয়ে খান: কালো কফির পরিবর্তে উদ্ভিজ দুধ মেশানো কফির স্বাস্থ্যগুণ বেশি। এ ক্ষেত্রে আমন্ড মিল্ক, ওট্স মিল্ক, নারকেলের দুধ মেশাতে পারেন। গরম দুধ সরাসরি চায়ের কাপেই ঢালুন। দুধের সঙ্গে ফোটাবেন না, না হলে অম্লভাব এসে যেতে পারে কফিতে। কফিতে ভাল ফ্যাট মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যাফিনের শোষণ কম হয়।

কফিতে মশলা মেশান: পুষ্টিবিদদের মতে কফিতে ভেষজ মশলা মিলিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, চক্রফুল, অশ্বগন্ধা মেশানো যেতে পারে। এই সব ভেষজ উপাদান কফির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত হয়, ক্যাফিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Coffee Side Effects Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy