প্রিয় খাবারের থেকে দূরে না হয়েও কী ওজন ঝরানো সম্ভব? প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে ওজন বেশ খানিকটা বাড়িয়েছেন অনেকেই। ফিট থাকার জন্য এ বার আবার ঘাম ঝরানোর পালা! জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানোর পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও দিতে হবে বাড়তি নজর। তা হলেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ভাবছেন বুঝি আবার প্রিয় খাবারগুলি থেকে চোখ ফিরিয়ে থাকতে হবে? না! এমনটা নয়, ফন্দি জানলে পছন্দের খাবার খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। জানতে হবে সঠিক কৌশল।
পুষ্টিবিদদের মতে, রোগা হতে গেলে কী খাচ্ছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কতটা খাচ্ছেন, সে দিকেও নজর দিতে হবে। খাবারের পরিমাণের উপর রাশ টানতে পারলেই ওজন ঝরার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা সম্ভব। পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকার প্রয়োজন নেই, পরিমাণটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই কেল্লাফতে। কেবল ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও কিন্তু ভীষণ জরুরি খাবারের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
সামনে লোভনীয় পদ থাকলেও কী ভাবে লাগাম টানবেন খাবারে?
১) বাইরে বেরিয়ে খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে খালি পেটে ভুলেও থাকবেন না। চেষ্টা করুন বাড়ি থেকে হালকা কিছু খেয়ে বেরোনোর। এক বাটি স্যালাড হোক কিংবা অঙ্কুরিত ছোলা, হতে পারে ফল বা বাদামের চাটও— এমন কিছু বানিয়ে খেতে পারেন। পেট ভরা থাকলে বাইরে বেরিয়েও খুব বেশি ভুলভাল খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না।
২) প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা আর রাতের খাবার কখনও বাদ দেবেন না। কোনও একটা ‘মিল’ না খেলেই আপনার খিদে বাড়বে। আর তখন বেশি করে ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছা হবে।
৩) বড় মাপের থালা-বাটি বদলে ছোট থালা-বাটিতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই পন্থা মেনে চললে খাবারের পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
৪) থালায় অর্ধেকটা অংশে থাকবে শাক-সব্জি। বাকি অর্ধেকে থাকবে প্রোটিন (মাছ, মাংস, ডিম) এবং কার্বোহাইড্রেট। পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্বাস্থ্য পেতে এই পন্থা সকলেরই মেনে চলা উচিত।
৫) বাইরে গেলে কোনও খাবার অর্ধেক প্লেট অর্ডার করুন। আর পছন্দের সব জিনিস একসঙ্গে অর্ডার করবেন না। এক-এক দিনে এক-একটা পছন্দের জিনিস খান, তবে অবশ্যই পরিমাণটা মাথায় রেখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy