কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুনলে প্রথমেই যোগাসন করার কথা কারও মাথায় আসে না। কিন্তু, বিজ্ঞানসম্মত কারণেই যোগাসন এই সমস্যা নিরাময় করতে পারে। তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ মানুষ প্রথমে ইসবগুল, শাকপাতার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ পথ্য বা খাবারের উপর বেশি নির্ভর করেন। এই জিনিসগুলি অবশ্যই একেবারে অকাজের নয়।
তবে শুধু ফাইবার জাতীয় খাবার খেয়ে এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়াও সম্ভব নয়। সে সব ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে শেষমেশ চিকিৎসকের শরণ নিতেই হয়। বহু ক্ষেত্রে সেই চিকিৎসা খরচসাপেক্ষ হয়ে ওঠে। তবে এত ঝক্কি পোহাতে হয় না, যদি নিয়মিত কয়েকটি আসন অভ্যাস করতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে জড়িত আরও নানা রকম সমস্যাও তো রয়েছে! সে সব বশে রাখতে পারে যোগাসন।
আরও পড়ুন:
কোন কোন আসনে কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট বশে থাকে?
ভুজঙ্গাসন

ছবি: সংগৃহীত।
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীর ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৩-৪ বার এই আসনটি করতে পারেন। পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এই আসন।
ধনুরাসন
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক, হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাত দুটো ঊরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।