আর্দ্রতা ভাল থাকলে ত্বক থাকে নরম এবং স্বাস্থ্যকর, যা ট্যাটু করানোর পক্ষে আদর্শ। প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন সভ্যতায় বহু প্রাচীনকাল থেকেই হরেক রকমের ছবি আঁকার চল রয়েছে দেহে। সে সব উল্কির থেকে আধুনিক ট্যাটুর কিছুটা তফাত রয়েছে। তবে বিরাট কোহলি থেকে মিমি চক্রবর্তী, খেলোয়াড় থেকে চিত্রতারকা, ট্যাটুতে মজেছেন অনেকেই। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই ট্যাটু শিল্প। তবে ট্যাটু করাতে চাইলেই তো হবে না, আঁকার আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। এতে আর্দ্র থাকবে ত্বক। কমবে সংক্রমণের আশঙ্কা।
ট্যাটু করানোর আগে—
কোথায় ট্যাটু করাবেন, কতটা জায়গা জুড়ে করাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, এক বার করানো হয়ে গেলে তুলে ফেলা মুশকিল। বদল করার সুযোগ কম। ট্যাটু করানোর আগে অন্তত ১ সপ্তাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। এতে যেমন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। আর্দ্রতা ভাল থাকলে ত্বক থাকে নরম এবং স্বাস্থ্যকর, যা ট্যাটু করানোর পক্ষে আদর্শ। ট্যাটু করার আগের রাতে মদ্যপান না করাই ভাল। এমনকি, সম্ভব হলে এড়িয়ে যেতে হবে কফিও। কারণ এতে ট্যাটু করানোর সময় রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
ট্যাটু করানোর সময়
ট্যাটু করানোর সময় অবশ্যই নতুন সুচ ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখুন আপনার শিল্পী কী ধরনের সুচ ব্যবহার করছেন। একই সুচ বার বার ব্যবহার করলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এমনকি এডসের মতো মারাত্মক বিপদও ঘটে যেতে পারে।
ট্যাটু করানোর পর
ট্যাটু করার পর অনেকের চামড়ার সমস্যা দেখা যায়। ট্যাটুর জায়গাটিকে অযথা ঘষাঘষি করবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সাঁতার কাটা ও গরম জলে স্নান করা থেকে বিরত থাকাই ভাল। কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে পরিষ্কার করতে হয় ট্যাটু করার জায়গা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ট্যাটুর স্থান পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের সময় অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে আগে। ট্যাটুর জায়গা যদি পরিষ্কার করতেই হয় তবে ঈষদুষ্ণ জল এবং নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। অনেক সময় ট্যাটুর জন্য উপযোগী ক্রিম বা লোশন লাগাতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy