কিছু ফল রয়েছে, যেগুলি বেশি খেলে আবার ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
বাবা-মা দু’জনেই ডায়াবিটিসের রোগী। তাই মনে খানিক ভয় নিয়েই রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন সঞ্চয়িতা। দু’দিন পরে রিপোর্ট আসতেই আশঙ্কা সত্যি হল। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে। চিকিৎসক কড়া ডায়েট বানিয়ে দিলেন। খানিক নিয়ম মেনে চললেই শর্করার মাত্রা হাতের মুঠোয় রাখা যাবে। কিছু খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। সঞ্চয়িতা এমনিতে খুব যে খাদ্যরসিক, তা নয়। তবে ফল খেতে মারাত্মক ভালবাসে। কিন্তু ইচ্ছামতো ফলও খাওয়া যাবে না। কিছু ফল রয়েছে, যেগুলি বেশি খেলে আবার ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কোন কোন ফল?
তরমুজ
গরমের দিনে স্বস্তি পেতে তরমুজের বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু ডায়াবিটিস থাকলে তরমুজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ, এই ফলে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। সেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রাও কম নয়। তাই তরমুজ সাময়িক স্বস্তি দিলেও ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কলা
ডায়াবিটিস থাকলেও কলা খাওয়া যেতে পারে যদি সঙ্গে কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট থাকে। তবে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের কলা না খাওয়াই ভাল। তবে একান্ত কলা খেতে হলে দইয়ের সঙ্গে খান। উপকার পাবেন।
আম
ডায়াবিটিস থাকলে আম খাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধন্দ। তবে চিকিৎসকেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে আম না খাওয়াই ভাল। অন্তত ঝুঁকি কমবে এতে। কারণ, প্রতিটি আমে রয়েছে ১৪ গ্রাম চিনি। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে আম না খাওয়াই ভাল।
আনারস
আনারসে চিনির পরিমাণ প্রায় ১৬ গ্রাম। অনেকেই গরমে প্রাণ ভরে আনারস খান। তবে ডায়াবিটিস থাকলে না খাওয়াই ভাল। তাতে আবার ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লিচু
গরমের জনপ্রিয় ফল হল লিচু। আট থেকে আশি, লিচু খেতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে ডায়াবিটিস থাকলে সেই ভালবাসায় খানিক রাশ টানা জরুরি। কারণ, লিচুতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে চিনি। ডায়াবিটিকদের লিচু খাওয়া ঠিক হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy