বয়স ২৮ হোক কিংবা ৬৮, কোমরে ব্যথা অনেকেরই জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এ ব্যথা কী যে ব্যথা, পাঁচজনকে তা বোঝানোর মতো নয়। উঠতে গেলে যন্ত্রণা, বসতে গেলে প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। অনেকে বলবেন এ হল পেশির সমস্যা। কেউ বলবেন নির্ঘাৎ হাড়ে ব্যথা। আবার ভুল ভঙ্গিতে বসা এবং শোয়ার কারণেই যে এমন হচ্ছে, সেটাও বলতে শোনা যায়। এই একটি কারণও ফেলে দেওয়ার নয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এগুলি ছাড়াও ব্যথার নেপথ্যে লুকিয়ে আছে এমন কিছু অভ্যাস, যা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের কোন অভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন?
শরীরচর্চার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ
রোজ ব্যায়াম করার সময় না-ই হতে পারে। কিন্তু তার মানে এমন নয় যে মাঝেমধ্যে একটু হাত-পা টানটান করবেন না। এটুকু করার সময় বার করতেই হবে। কঠিন কোনও ব্যায়াম না করলেও মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং জরুরি। তাতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাঁটাচলা কম করা
মানুষের শরীর এক জায়গায় বসে থাকার মতো করে তৈরি নয়। বরং নানা কাজের জন্য এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়ানো শরীরের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু অধিকাংশের কাজই হয় কম্পিউটারের সামনে বসে। দিনভর এক জায়গায় বসে কাজ করার পরে বাড়ি ফিরেও ওটিটি, টিভি বা কম্পিউটার গেমসে চোখ থাকে। হাঁটাচলা করার অভ্যাস ক্রমশ কমে আসছে। এমন বেশি দিন ধরে চললে কোমরে ব্যথা বাড়েই। তাই নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা জরুরি।
মনের যত্ন না নেওয়া
নিজের মনের উপর চাপ দিতে কেউ চান না ঠিকই। কিন্তু আধুনিক এই সময়ে জীবনযাপনে বদল মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। আর তার থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা। ব্যথা তারই মধ্যে একটি। পিঠ, কোমরের ব্যথা কমাতে হলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মানসিক চাপ। মনে মেঘ জমতে না দিলেই ব্যথা-বেদনা দূরে চলে যাবে।