জীবনে সুস্থ ভাবে এগিয়ে চলতে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
সামান্য আঘাতেই কেউ ভেঙে পড়েন, অনেকে আবার অনেক ঝড়ঝাপটা সামলেও দৃঢ় ভাবে এগিয়ে চলতে পারেন। মানসিক দৃঢ়তাই কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্ত দিক সামলাতে সাহায্য করে। মানুষ ভেদে মানসিক ক্ষমতাও বিভিন্ন রকমের। একই পরিস্থিতিতে এক এক জনের ভাবনা, নিজেকে সামলানোর ক্ষমতা এক এক রকম হয়। একজন মানসিক ভাবে শক্তিশালী মানুষ সহজেই পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেন। কখনও কখনও পরিবেশ-পরিস্থিতি কোনও মানুষকে মানসিক ভাবে শক্ত করে তোলে। আবার কখনও জীবন বা পরিস্থিতি সম্পর্কে যে কোনও মানুষের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও মানসিক শক্তি বা শান্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কোন কোন ভুল আপনাকে দুর্বল করে দিতে পারে?
পরিস্থিতিকে দোষারোপ করা
কঠিন পরিস্থিতিতে বহু মানুষই কাঁদতে বসেন। ভাগ্যকে দোষারোপ করেন। প্রশ্ন তোলেন, তাঁর সঙ্গে কেন এমন হল? দুঃখের দিনে কাঁদলে মন হালকা হয়। তবে ক্রমাগত নিজের কপাল না চাপড়ে, কঠিন পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়ার শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন। নিজেকে বোঝানো দরকার, কঠিন হলেও সত্যকে মেনে নিতে হবে। জীবনের ভালমন্দকে সহজে মেনে নেওয়ার ভাবনা, একজন মানুষের এগিয়ে চলার পথকে খানিকটা সহজ করে দিতে পারে। পরিস্থিতিকে না দুষে, নতুন করে সমস্ত কিছু কী ভাবে গুছিয়ে নেওয়া যায়, ভাবা দরকার।
সমস্যা এড়িয়ে চলা
ভুলকে গুরুত্ব না দেওয়া, সমস্যা দেখলে এড়িয়ে চলা মানসিক ভাবে দুর্বলতার লক্ষণ। মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে গেলে, ভুল বা সমস্যাকে না এড়িয়ে তার মোকাবিলা করা দরকার। ভুল হলে তা শোধরানো যায় কি না, দেখা প্রয়োজন। যদি তা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে একই ভুল যাতে না হয়, তা-ও দেখতে হবে। অনেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ভয় পান। অঙ্ক মাথায় ঢোকে না বলে এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ভয় না পেয়ে বেশি করে অঙ্ক কষলে, সমস্যার সমাধান সম্ভব। জীবনের অঙ্কও কিন্তু তেমনই।
অতীত নিয়ে বসে থাকা
অতীতের দুর্ঘটনা বা খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই বার হতে পারেন না। কিন্তু মানসিক ভাবে শক্তিশালী মানুষ, সমস্ত খারাপ অনুউভূতি, তিক্ততা সরিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। অতীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটলেও, তা মুছে ফেলার উপায় হল ভবিষ্যতের কথা ভাবা। সময়ের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মনে সাহস নিয়ে এগিয়ে না গেলে কিছুতেই অতীত নিয়ে দোলাচল কাটবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy